Monday, 11 January 2016

বাংলা প্রবাদ, প্রবচন ও বাগধারা -- ১


অ আ ক খ শেখা
অং বং চং
অক্কা পাওয়া
অকাজে বউড়ী দড়, লাউ কুটতে খরতর
অকাজের গোঁসাই
অকারনে কিছুই ঘটে না৷
অকাল কুষ্মাণ্ড।
অকাল গেল সুকাল এল, খেয়ে কাঁঠালের কোষ, এখন কি ব'লে পালাবে বোনপো দিয়ে মাসীর দোষ।
অকাল গেল, সুকাল এল, পাকল কাঁঠালের কোষ আজ বন্ধু ছেড়ে যাও দিয়ে আমার দোষ
১০ অকাল বসন্ত
১১ অকালে কি না খায়
১২ অকালে খেয়েছ কচু, মনে রেখ কিছু কিছু ।
১৩ অকালে না নোয়ালে. বাঁশ, পাকলে করে ট্যাঁশ ট্যাঁশ
১৪ অকালে বাড়ে সকালে মরতে
১৫ অকালের তাল বড় মিষ্টি
১৬ অকেজো নাপিতের বোঝা ভরা খুর (ক্ষুর)
১৭ অকেজো বউ লাউ কুটতে দড়
১৮ অকেজোর তিন কাজ বড়, ভোজন ক্রোধ নিদ্রা দড় । 
১৯ অকর্মার ধাড়ি
২০ অকূলে কূল পাওয়া
২১ অকূলে ডোবা
২২ অকূলে ভাসা
২৩ অকূলের কূল
২৪ অক্ষর পরিচয়
২৫ অক্ষরে অক্ষরে
২৬ অক্সিজেন জোগানো
২৭ অকস্মাৎ বজ্রাঘাত
২৮ অগাধ জলের মাছ ।
২৯ অগে পিঠে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড়
৩০ অগুণ মানুষ গুণ না চিনে, মূষা না চিনে বিড়ালী । অপ্রেমী যে প্রেম না চিনে, কাঠ না চিনে কুড়ালী ।।
৩১ অগ্নি, ব্যাধি, ঋণ, তিনের রেখ না চিন (চিহ্ন)।
৩২ অগভীর জলে সফরী ফরফরায়তে
৩৩ অগস্ত যাত্রা
৩৪ অঘটির ঘটি হল, জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল ।
৩৫ অঙ্গার হাজার ধুইলেও ময়লা ছাড়ে না 
৩৬ অঙ্গুলি হেলন
৩৭ অজগরের দাতা রাম
৩৮ অজাত জব্দ কলেবলে, শিল জব্দ নোড়ার বলে।
৩৯ অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার
৪০ অজ্ঞানে করে পাপ, জ্ঞান হলে মনস্তাপ
৪১ অজ্ঞানে করে পাপ, জ্ঞান হলে সরে। সজ্ঞানে করে পাপ, সঙ্গে সঙ্গে ফেরে ।
৪২ অজ্ঞানে বাপান্ত করে, জ্ঞানবানে তাই কি ধরে ?
৪৩ অজ্ঞানের কালে জানে না, অমানুষের কালে মানে না ।
৪৪ অজ্ঞানের পাপ জ্ঞানে যায়, জ্ঞানের পাপ তীর্থে যায় ।
৪৫ অজুহাত খাড়া করা
৪৬ অতি আশ সর্বনাশ ।
৪৭ অতি চালাকের গলায় দড়ি, অতি বোকার পায়ে বেড়ি ।
৪৮ অতি চতুরের ভাত নাই, অতি সুন্দরীর ভাতার নাই ।
৪৯ অতি দানে বলির পাতালে হল ঠাঁই ।
৫০ অতি দর্পে হতা লঙ্কা
৫১ অতি পিরীত যেখানে, অতি বিচ্ছেদ সেখানে ।
৫২ অতি প্রেমে অমিত বিচ্ছেদ
৫৩ অতি প্রণয় যেখানে, নিত্য যাবে না সেখানে; যদি যাবে নিত্যি, ঘটবে একটা কীর্তি ।
৫৪ অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙ্গে যাবে, অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে 
৫৫ অতি বাড় ভাল নয়
৫৬ অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর, অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।
৫৭ অতি বুদ্ধির গলায় দড়ি
৫৮ অতি বুদ্ধির হা ভাত।
৫৯ অতি বড় সোদর, তিন দিন করবে আদর
৬০ অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ ।
৬১ অতি মেঘে অনাবৃষ্টি
৬২ অতি মন্থনে বিষ উঠে ।
৬৩ অতি লোভে তাঁতী নষ্ট ।
৬৪ অতি সোদর হয়, গায়ে তুলে দেয়, টিকলে ( গিললে ) ত হয়।
৬৫ অতিথি এক ঘণ্টায় যা দেখে, গৃহকত্রী এক বছরেও তা দেখে না
৬৬ অতিথি সর্বময় গুরু
৬৭ অতিদীঘলী হয় রাঁড়ী, নির্ধন হয় নাড়ামুড়ি
৬৮ অতির কিছুই ভাল নয়
৬৯ অতিসোদর হয় গালে তুলে দেয়, না ঢিকলে ত নয়
৭০ অদানে অব্রাহ্মণে
৭১ অদন্তের দাঁত হল কামড় খেতে খেতে প্রাণ্টা গেল ।
৭২ অদন্তের হাসি, দেখতে ভালবাসি ।
৭৩ অদৃষ্টে করলা-ভাতে, বীচি কচ কচ করে তাতে; পড়ল বীচি বুড়োর পাতে।
৭৪ অদৃষ্টের কিল পুতেও কিলোয় ।
৭৫ অদৃষ্টের ফল কে খণ্ডাবে বল ?
৭৬ অধঃপাতে যাওয়া
৭৭ অধিক খেতে করে আশা, তার নাম বুদ্ধিনাশা ।
৭৮ অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট ।
৭৯ অধিকন্তু ন দোষায়।
৮০ অধিবাসের গুঁতো সামলালে বিয়ে করা তো অল্প কথা
৮১ অধর্মের পথ বড়ই সরল ।
৮২ অনাথের দৈব সখা ।
৮৩ অনাবৃস্টে রাজ্য মজে, পাপে মজে ধর্ম; কোটালে গৃহস্থ মজে, আলস্যে মজে কর্ম । 
৮৪ অনাহ্বানের নিমন্ত্রণ না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
৮৫ অনেক কালের ছিল পাপ, ছেলে হল সতীনের বাপ ।
৮৬ অনেক খাবে তো অল্প খাও, অল্প খাবে তো অনেক খাও ।
৮৭ অনেক গর্জনের ফোঁটা বৃষ্টি
৮৮ অনেক জলের মাছ।
৮৯ অনেক যদি মাছ পায়, বেড়ালে কাঁটা বেছে খায়
৯০ অনেক সুখ কপালে, ছেঁড়া কাঁথা বগলে
৯১ অনেক সন্তান যার, পাপের সাজা তার
৯২ অনেক হল পাপ, এবার ছাড়ো বাপ
৯৩ অন্য লোকে ভুরা ( গুড়ের নিকৃস্টাংশ) দেয় ভাগ্যে আমি চিনি
৯৪ অন্যের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া
৯৫ অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়ার করা
৯৬ অন্যের বিষয়ে নাক গলানো
৯৭ অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা
৯৮ অনটনের তিন গুণ ব্যয়
৯৯ অনটনের সংসারে দুনো ব্যয় ।
১০০ অন্তর টিপুনি
১০১ অন্ধ বিশ্বাস
১০২ অন্ধকার দেখা
১০৩ অন্ধকারে ঢিল মারা (ছোড়া) ।
১০৪ অন্ধকারে থাকা
১০৫ অন্ধকারে লাউ কোটা 
১০৬ অন্ধকারে হাতড়ানো
১০৭ অন্ধকে দর্পণ দেখানো
১০৮ অন্ধের যস্টি ( বা নড়ি)
১০৯ অন্ধের হস্তি দর্শন
১১০ অন্ন চিন্তা চমৎকার, বস্ত্র চিন্তা নৈরাকার, তার থেকে অধিক চিন্তা তামাক নেই যার ।
১১১ অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি ।
১১২ অন্ন ধ্বংস করা
১১৩ অন্ন নাই যার ঘরে, তার মানে কিবা করে ।
১১৪ অন্ন বিনা চর্ম দড়ি, তৈল বিনা গায়ে খড়ি ।
১১৫ অন্ন বিনা ছন্নছাড়া
১১৬ অন্ন বল নেই, অগ্নি বল আছে ।
১১৭ অন্ন সংস্থান করা
১১৮ অন্নগত প্রাণ
১১৯ অন্নচিন্তা চমৎকারা, কালিদাস হয় বুদ্ধিহারা ।
১২০ অন্নচিন্তা চমৎকারা, ঘরে ভাত নাই জীয়ন্তে মরা।
১২১ অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা, একদিনে লাগে তালা ।
১২২ অনন্ত দেবের অনন্ত লীলা, ছকু দাদার আঠারো লীলা
১২৩ অন্নদানের পরে আর দান নাই
১২৪ অন্নপূর্ণা যার ঘরে, সে কাঁদে অন্নের তরে !
১২৫ অনভ্যাসের ফোঁটা কপাল চড়চড় করে।
১২৬ অনুরাগ বিনে গৌর আসবে কেনে ?
১২৭ অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়ে ।
১২৮ অপমানের পরান, সম্মানকে ডরান
১২৯ অপরের মন্দ নিজের হিত, না করিও কদাচিত।
১৩০ অবাক করলি রাধা, অম্বলে দিলি আদা !
১৩১ অবাক করলে নাকের নথে, কাজ কি আমার কানবালাতে
১৩২ অবাক কলির অবতার, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
১৩৩ অবিয়ন্তীর ঠুনকোর ব্যথা
১৩৪ অবোধারে মারে বোধায়, বোধারে মারে খোদায় !
১৩৫ অবোধের গোবধে আনন্দ ।
১৩৬ অবোধের সাত খুন মাফ ।
১৩৭ অবোলা চলে বড়, , অফলা ফলে বড় ।
১৩৮ অবুঝে বুঝাব কত, বুঝ নাহি মানে । ঢেঁকিরে বুঝাব কত নিত্য ধান ভানে ।
১৩৯ অবরে সবরে / অপরে সপরে
১৪০ অবলার মুখেই বল ।
১৪১ অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা ।
১৪২ অভুক্তা বড়ই (বা বড়ুই = কুল), ভুক্তা বেল, ডাক বলে- পরাণ গেল ।
১৪৩ অভাগা চোর যে বাড়ি যায়, হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায় । 
১৪৪ অভাগা যে দিকে (যদ্যপি)  চায়, সাগর শুকায়ে যায় ।
১৪৫ অভাগার ঘোড়া মরে, ভাগ্যবানের (মাগ) বউ মরে ।
১৪৬ অভাগার যমও নেই ।
১৪৭ অভাগার বাপ মরে ভাদ্র মাসে, ভাগ্যবানের ( ভাগ্যবন্তের) বাপ মরে পৌষমাসে 
১৪৮ অভাগিনীর দুই পুত, একটা দানা, একটা ভুত ।
১৪৯ অভাগীর ভাগ্য, জোয়ান দেখে ধরল ভাতার, সেও হাগে রক্ত
১৫০ অভাগীর লগনে চাঁদ নাই গগনে ।
১৫১ অভাবে নাতজামাই ভাতার
১৫২ অভাবে স্বভাব নষ্ট, মুখ নষ্ট ব্রণে;  ঝরায় ক্ষেত নষ্ট, স্ত্রী নষ্ট মারণে (মারধর করলে)
১৫৩ অভিমানী দুয়ো নেটি পেটি সুয়ো
১৫৪ অভিমানে বালির দত্ত যান গড়াগড়ি ।
১৫৫ অভেদাত্মা হরিহর
১৫৬ অভ্যাস দোষ না ছাড়ে চোরে, শূন্য ভিটায় মাটি খোঁড়ে ।
১৫৭ অভ্যাসে সয়, অনভ্যাসে নয় ।
১৫৮ অভদ্রা বর্ষা কাল, হরিণী চাটে বাঘের গাল ।শোন রে  হরিণী তোরে কই, সময় গুণে সবই সই
১৫৯ অমানুষ মানুষ নিন্দে, বদনা নিন্দে ঝারি, জোনাকি পোকায় সূর্য নিন্দে, করুয়া নিন্দে কারি (শিল্পকার্য)
১৬০ অমাবস্যার চাঁদ
১৬১ অমাবস্যার প্রদীপ (পিদ্দিম) টিপ টিপ করে ।
১৬২ অমৃত কি পদার্থ খেয়ে দেখি না জল ।
১৬৩ অমৃতে অরুচি
১৬৪ অম্বিকানগর গেছে গানে, খাতড়া গেছে দানে, রাইপুর গেছে বানে ।
১৬৫ অম্বল কম্বল ডম্বল ( ব্যায়াম) , তিন শীতে সম্বল 
১৬৬ অরগুণ ( অন্তরগুণ) নেই, বরগুণ (বাহিরগুণ) আছে ।
১৬৭ অরাজ্যে বামুন বেগার
১৬৮ অরাধুনীর হাতে পড়ে রুই (কই) মাছ কাঁদে, না জানি রাধুনী মোর কেমন করে রাঁধে ।
১৬৯ অরুচির অম্বল, শীতের কম্বল, বর্ষার ছাতি,  ভট্টাচার্যের পাতিঁ (পুঁথি)
১৭০ অরণ্যে রোদন
১৭১ অর্থই অনর্থের মূলে ।
১৭২ অর্ধ সত্য মিথ্যা অপেক্ষা ভয়ঙ্কর।
১৭৩ অর্ধচন্দ্র (অর্ধচন্দ্রাকৃতি হস্তাগ্র দ্বারা প্রযুক্ত বলে গলাধাক্কা অর্থে ব্যবহৃত হয়)
১৭৪ অর্ধেক আচার, অর্ধেক বিচার
১৭৫ অর্ধেক সকল ঘরগোষ্ঠী, আর অর্ধেক মা ষষ্ঠী
১৭৬ অল, কচু, মান তিনই সমান ।
১৭৭ অলক্ষ্মীতে পাওয়া
১৭৮ অলক্ষ্মীর দ্বিগুণ ক্ষুধা
১৭৯ অলক্ষ্মীর দৃষ্টি
১৮০ অলক্ষ্মীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি
১৮১ অল্প আগুনে তামাক যেমন, ছোটলোককে খোসামোদ তেমন ।
১৮২ অল্প আগুনে শীত হরে, বেশি আগুনে পুড়িয়ে মারে ।
১৮৩ অল্প জলে পুটিমাছ ফর ফর করে ।। অল্প জলে পুটিমাছ লাফায় বেশি ।
১৮৪ অল্প জলের তিতপুঁটি, তার এত ছটফটি ।
১৮৫ অল্প জলের মাছ
১৮৬ অল্প ধনে মহাজনী করে, খাতক থাকতে মহাজন মরে ।
১৮৭ অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী । 
১৮৮ অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়, বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয় ।
১৮৯ অল্প বয়সে শোথে তরে ( = বেঁচে যায়), বেশি বয়সে শোথে মরে। (স্ফীততা বা ফোলা রোগকে শোথ বলে ।)
১৯০ অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর
১৯১ অল্পের উপর দিয়ে যাওয়া
১৯২ অলভ্যের বাণিজ্য, কচকচিই সার ।
১৯৩ অলস মস্তিস্ক শয়তানের বাসা
১৯৪ অশ্বত্থামা হত ইতি গজ ।
১৯৫ অশ্বত্থের ছায়াই ছায়া ।
১৯৬ অশ্বতরী গর্ভ ধরে আপন মরণে
১৯৭ অষ্ট দিক পাল ( ইন্দ্র, বহ্নি, যম, নৈঋত, বরুণ, মরুত, কুবের, ঈশান-- আট দিকের আট দেবতা)
১৯৮ অসইরণ সইতে নারি, সিকেয় পোঁদ দিয়ে ঝুলে মরি 
১৯৯ অসারে জলসার
২০০ অসারের তর্জন গর্জন সার
২০১ অসৎ কার্যের বিপরীত ফল
২০২ অসতী নারী, ফুটো কলসি, অসৎ চাকর, ভগ্নপ্রায় বাড়ি পরিত্যাজ্য
২০৩ অসতী সতী নিন্দে, ঘৃত নিন্দে মাতওয়ালা, বেশ্যা যে সে পুত্র নিন্দে, চোর নিন্দে কোতওয়ালা ।
২০৪ অস্থানে তুলসী, অপাত্রে রূপসী ।
২০৫ অসভ্যের নাজীর
২০৬ অসময়ে সকলি সই, শোনরে দুঃখ তোমারে কই
২০৭ অহংকার করিলেই ধ্বংস হয়
২০৮ অহংকারে গদগদ ভূমিতে না পড়ে পদ ।
২০৯ অহংকারে ছারখার
২১০ অহংকারে পথ দেখতে পায় না
২১১ অহিংসা পরম ধর্ম
২১২ অহি-নকুল সম্পর্ক
২১৩ আইগা হুছে না, মুইতা পানি লয়।
২১৪ আই-ঘর যাও, ভাই-ঘর যাও, কাটনা কেটে ভাত খাও।
২১৫ আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো
২১৬ আইবুড়ো নাম ঘোচানো/খণ্ডানো
২১৭ আউলে বাঘ জালে পড়ে ।
২১৮ আউশ ধানের চাষ/ লাগে তিন মাস।
২১৯ আওয়াজ করা
২২০ আওয়াজ তোলা
২২১ আক্কেল দাঁত না গজানো
২২২ আক্কেল সেলামি
২২৩ আক্কেলে গুড়ুম
২২৪ আক্কেলে সকল বন্দী, জালে বন্দী মাছ /  স্ত্রীর কাছে পুরুষ বন্দী, ছালে বন্দী গাছ
২২৫ আকাটা নায়ের সাজ বেশি
২২৬ আকামের মাঝু, কদু কুটনের যম ।
২২৭ আকারে ইঙ্গিতে
২২৮ আকালে কি না খায়
২২৯ আকালের ভাত যুগের খোঁটা
২৩০ আকাশ ছোঁয়া
২৩১ আকাশ থেকে পড়া
২৩২ আকাশ পাতাল তফাৎ ।
২৩৩ আকাশ পাতাল ভাবা
২৩৪ আকাশ ভেঙ্গে পড়া
২৩৫ আকাশে কোদালীর বাউ। ওগো শ্বশুড় মাঠে যাও।। মাঠে গিয়া বাঁধো আলি। বৃষ্টি হবে আজি কালি।।
২৩৬ আকাশে তোলা
২৩৭ আকাশে ধুলো ছুড়লে নিজের চোখে পড়ে
২৩৮ আকাশে ফাদ পেতে চাঁদ ধরা ।
২৩৯ আকাশে ফাঁদ পেতে বনের পাখি ধরা
২৪০ আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া ।
২৪১ আকাশ-পাতাল ফারাক
২৪২ আকন্দে যদি মধু পাই, তবে কেন পর্বতে যাই ?
২৪৩ আকন্দের ডাল মুড়ি দিয়ে বেঁচে থাকা
২৪৪ আখ, আদা, পুঁই/ এ তিন চৈতে রুই।
২৪৫ আখের গোছানো
২৪৬ আখেরে  লাভ
২৪৭ আগ্ দরশন দুখানি চরণ পাছ দরশন ঝুঁটি/ মুখ দরশন হাস্যবদন বুকে মাজায় খুঁটি ।
২৪৮ আগ ন্যাংলা (নাঙ্গলে) যে দিকে যায়, পাছ ন্যাংলা সে দিকে ধায়
২৪৯ আগ বাড়ানো
২৫০ আগু লাথ, পিছু বাত ।
২৫১ আগাছার বাড় বেশি
২৫২ আগে অম্বল পরে ভাজা, সেই হল রাঁধুনির রাজা
২৫৩ আগে আপন সামাল কর, শেষে গিয়ে পরকে ধর ।
২৫৪ আগে গেলে বাঘে খায়, পিছনে গেলে সোনা পায় ।
২৫৫ আগে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা, পিছনে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা
২৫৬ আগে গেলেও ভেড়ার ভেড়ে, পিছনে গেলেও ভেড়ার ভেড়ে
২৫৭ আগে জামাই কাঁঠাল খান না, শেষে জামাই ভোঁতাও পান না
২৫৮ আগে তিতা, শেষে মিঠা
২৫৯ আগে দুঃখ, পিছে সুখ
২৬০ আগে দাও কড়ি, পিছে নাও বড়ি ।
২৬১ আগে দেখ, পরে লও, শেষে দাও কড়ি ।
২৬২ আগে দর্শনধারী, শেষে গুণবিচারী ।
২৬৩ আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে, পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে ।
২৬৪ আগে পা পরে গা, মাথায় দিয়ে নাইতে যা
২৬৫ আগে বাঁধবে আইল/ তবে রুবে শাইল।/খরা ভুয়ে ঢালবি জল/ সারাবছর পাবি ফল।/ ডাঙ্গা নিড়ান বান্ধন আলি/ তাতে দিও নানা শালি।
২৬৬ আগে ভাল ছিল জেলে জালদড়া বুনে, কি কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে ।
২৬৭ আগে হাঁটে, পাঁঠা কাটে, প্রদীপ উস্কোয়, দই বাঁটে, ভান্ডারী, কান্ডারী, রাঁধুনি বামুন যশ পায় না এই সাত জন ।
২৬৮ আগে হলেম আমি, পিছে হল মা, হাসতে হাসতে দাদা হল, বাবা হল না ।
২৬৯ আগের চেয়ে পিছে ভাল যদি ডাকে মায়ে
২৭০ আগুন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না
২৭১ আগুন চাপা থাকে না ।
২৭২ আগুন না থাকলে ধোঁয়া হয় না
২৭৩ আগুন নিয়ে খেলা
২৭৪ আগুন পোহাতে গেলে, ধোঁয়া সইতে হয় ।
২৭৫ আগুন লাগানো
২৭৬ আগুন হওয়া
২৭৭ আগুনে ঘি দেওয়া
২৭৮ আগুনের কাছে ঘি রাখা
২৭৯ আগলে রাখা
২৮০ আঙ্গুর ফল টক
২৮১ আঙ্গুল ঘুরিয়ে পাঁচিল দেওয়া
২৮২ আঙ্গুল চালানো
২৮৩ আঙুল ফুলে কলাগাছ
২৮৪ আঁচ আছে, আগুন নাই
২৮৫ আঁচ পাওয়া
২৮৬ আচারে বাড়া, বিচারে এড়া
২৮৭ আঁচলের নিচে থাকা
২৮৮ আজ আমীর, কাল ফকির
২৮৯ আজ কাল করা/ আজ নয় কাল
২৯০ আজ বাদে কাল
২৯১ আজ মরলে কাল দু'দিন হবে
২৯২ আজকে খায় না রাগে, কালকে সবার আগে
২৯৩ আজার যুদ্ধে আটুনি সার
২৯৪ আট ঘাট বেঁধে চলা
২৯৫ আঁটকুড়ের পুত
২৯৬ আটখানা করা
২৯৭ আটখানা হওয়া
২৯৮ আটাআটি হলেই লাঠালাঠি
২৯৯ আঁটি চোষা
৩০০ আটে-পিঠে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড় ।
৩০১ আঁটুনি কসুনি সার
৩০২ আঠার আনা
৩০৩ আঠারো মাসে বছর
৩০৪ আঁত পাওয়া ভার
৩০৫ আতি চোর, পাতি চোর, হতে হতে সিঁধেল চোর ।
৩০৬ আঁতে খালি দাঁতে নুন, পেটের ভরে তিন কোণ, দু স্নধ্যেবাহ্যে যায়, তার কড়ি কি বৈদ্যে পায়?
৩০৭ আঁতে ঘা দেওয়া
৩০৮ আত্ম রেখে ধর্ম, তবে পিতৃকর্ম ।
৩০৯ আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়া
৩১০ আত্মারাম শুকিয়ে যাওয়া
৩১১ আঁতুড়েই বিনাশ করা
৩১২ আদা জল খেয়ে লাগা
৩১৩ আদা শুকালেও ঝাল যায় না
৩১৪ আদা, ওষুধের আধা ।
৩১৫ আদার ক্ষেতে কুঙ্কুম
৩১৬ আদার ব্যপারী, জাহাজের খোঁজ রেখে কি হবে ?
৩১৭ আদাড় গাঁয়ে শিয়াল রাজা
৩১৮ আদায় কাঁচকলায় সম্বন্ধ ।
৩১৯ আদি কহিলে মানুষ রুষ্ট ।
৩২০ আদেখলের ঘটি হল, জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল ।
৩২১ আদ্যিকান্ডের কথা বললে পাবে ব্যথা
৩২২ আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো ।
৩২৩ আদর বিবির চাদর গায়, ভাত পায় না ভাতার চায়
৩২৪ আদুরে গোপাল
৩২৫ আদরে ভোজন, কি করে ব্যঞ্জন ।
৩২৬ আধা কাঁচকলার সম্বন্ধ
৩২৭ আঁধার ঘরের মানিক
৩২৮ আন কাপাস, নে তুলো ।
৩২৯ আন মাগীর আন চিন্তে, দুয়ো মাগীর পতি চিন্তে
৩৩০ আন শুনতে কান শোনা
৩৩১ আন সতীনে নাড়ে চাড়ে, বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে ।
৩৩২ আনারস বলে ভাই কাঁঠাল, তুমি বড় খসখসে !
৩৩৩ আন্দাজে ঘোড়া টেপা
৩৩৪ আপটির মা কাপটি 
৩৩৫ আপন কোটে পাই, চিড়ে কুটে খাই
৩৩৬ আপন কোলে ঝোল সবাই টানে ।
৩৩৭ আপন গাঁয়ে কুকুর রাজা
৩৩৮ আপন ঘরে সবাই রাজা
৩৩৯ আপন চেয়ে পর ভাল, পর চেয়ে জঙ্গল ভাল ।
৩৪০ আপন ছাগল বেঁধে রাখি, পরের ছাগল হাততালি দি
৩৪১ আপন ছিদ্র জানে না, পরের ছিদ্র খোঁজে ।
৩৪২ আপন পাঁজি পরকে দিয়ে দৈবজ্ঞ বেড়ায় মাথায় হাত দিয়ে
৩৪৩ আপন পাঠা লেজে কাটি ।
৩৪৪ আপন বাপও সৎ বাপ হয় যদি মাও হয় সৎ মা
৩৪৫ আপন বেলায় চাপন চোপন, পরের বেলায় ঝুরঝুরে মাপন
৩৪৬ আপন বোন ভাত পায়না, শালীর তরে মণ্ডা ।
৩৪৭ আপন বুদ্ধি ছিল ভাল, পরের বুদ্ধিতে পাগল হল ।
৩৪৮ আপন বুদ্ধিতে তর, পর বুদ্ধিতে মর ।
৩৪৯ আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই ।
৩৫০ আপন বুদ্ধিতে ভাত, পর বুদ্ধিতে হা-ভাত ।
৩৫১ আপন ভাল পাগলেও বোঝে
৩৫২ আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত ।
৩৫৩ আপন হতে পর ভাল, দেশ হতে বিদেশ ভাল
৩৫৪ আপনা মাংসে হরিণা বৈরি ।
৩৫৫ আপনার আপনি, ডোর আর কোপনি
৩৫৬ আপনার ঘোল কেউ টক বলে না ।
৩৫৭ আপনার ঘর আঁধারে আলো, পড়ে মরি সেও ভালো
৩৫৮ আপনার ছাগল লেজের দিক থেকে কাটা
৩৫৯ আপনার ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি/ পরের ছেলেটা খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটা ।
৩৬০ আপনার জন্য কিছু নয়, জগত কেবল মায়াময়
৩৬১ আপনার ঢাকা থাক, পরের বিকিয়ে যাক
৩৬২ আপনার ধন পরকে দিয়ে দেবকী (কৃষ্ণের মাতা) মরে মাথায় হাত দিয়ে ।
৩৬৩ আপনার নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ ।
৩৬৪ আপনার বিড়াল পথ্যি পায় না ।
৩৬৫ আপনার বেলায় ছ'কড়ায় গণ্ডা, পরের বেলায় তিন গণ্ডা ।(আপনার বেলায় পাঁচকড়ায় গণ্ডা)
৩৬৬ আপনার মান আপন হাতে
৩৬৭ আপনার মান আপনি রাখ, কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক ।
৩৬৮ আপনার মত জগত দেখা
৩৬৯ আপনার হাতে পড়ল হাঁড়ি, ভাত রেখে আমানি বাড়ি
৩৭০ আপনারটা ষোল আনা পরেরটা কিছু না ।
৩৭১ আপনারটা সবাই বড় দেখে ।
৩৭২ আপনি খেতে ভাত পায় না শঙ্করীকে ডাকে ।
৩৭৩ আপনি গেলে ঘোল পায় না, চাকরকে পাঠায় দুধের তরে । 
৩৭৪ আপনি যেমন যেমন, জগত দেখি তেমন
৩৭৫ আপনি ঠাকুর ভাত পায় না, শঙ্করাকে ডাকে 
৩৭৬ আপনি নাচে আপনি গায় ।
৩৭৭ আপনি পায় না, পরকে বিলায় ।
৩৭৮ আপনি বাঁচলে বাপের নাম ।
৩৭৯ আপনি বড় ভাল, তাই লোককে বলে কালো ।
৩৮০ আপনি রইলেন ডর পানিতে, পোলারে পাঠালেন চর ।
৩৮১ আবাগের বেটা ভুত 
৩৮২ আবর তাঁতি গোবর খায়, স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায়
৩৮৩ আম খেয়ে খায় পানি,/ পেঁদি বলে আমি ন জানি।
৩৮৪ আম না থাকলে আমড়া ।
৩৮৫ আম না পেয়ে আঁটি চোষা
৩৮৬ আম না হতেই আমসত্ত্ব !
৩৮৭ আম নিম জামের ডালে দাঁত মাজো কৌতুহলে।
৩৮৮ আম লাগাই জাম লাগাই কাঁঠাল সারি সারি- বারো মাসের বারো ফল নাচে জড়াজড়ি।
৩৮৯ আম শুকালে আমসি, বয়স গেলে কাঁদতে বসি ।
৩৯০ আম, আমড়া, কুজরা ধান / এই তিন নিয়ে বর্ধমান
৩৯১ আমার আমার যত কর, চিনির বলদ হয়ে মর ।
৩৯২ আমার কথা শোন, ঘরদোর ভেঙ্গে ফেলে নটে শাক বোন ।
৩৯৩ আমার নাম নিতাই, এক খাই এক থিতাই ।
৩৯৪ আমি কই কি, আমার সারেন্দা বাজায় কি !
৩৯৫ আমি কই নেড়ি ভেড়ি, আমার পাঁচখানা কাপড় ধোপার বাড়ি ।
৩৯৬ আমি কি আর করি, আমি তো উপলক্ষ মাত্র ।
৩৯৭ আমি কি নাচতে জানি নে, মাজায় ব্যাথা তাই পারিনে ।
৩৯৮ আমি করি ভাই ভাই, দাদার কিন্তু মনে নাই ।
৩৯৯ আমি ছাড়তে চাইলে কি হবে, কম্বল তো আমারে ছাড়ে না ।
৪০০ আমিও ফকির হলাম, দেশেও আকাল এল ।
৪০১ আমিও রারি (বিধবা) হলাম, রং-বিরঙ্গের শাড়িও বের হল ।
৪০২ আমে দুধে এক হয়,  আদাড়ের আঁটি আদাড়ে যায়
৪০৩ আমে ধান/ তেঁতুলে বান।
৪০৪ আমে-দুধে মিশে যায়, আঁটি গড়াগড়ি খায় ।। আমে-দুধে মিশে যায়, আঁটির কলা আদাড়ে যায়
৪০৫ আমের বদলে আমড়া
৪০৬ আমড়া কাঠের ঢেঁকি
৪০৭ আমড়াগাছি করা
৪০৮ আমড়াগাছে আম হয় না
৪০৯ আমড়াতলায় আম পেলে, আম তলায় কে যায় ?
৪১০ আর গাব খাব না, গাবতলা দিয়ে যাব না । গাব খাব না ত খাব কই, গাবের মত আছে কি ।।
৪১১ আর রাজ্যে বামুন নেই, কাশী ঠাকুর চিড়ে খাও ।
৪১২ আরগুন নেই, ছারগুন আছে ।
৪১৩ আরের দাঁত, আর ছিরে বুড়োর মাড়ি ।
৪১৪ আরের মন আর দিকে,  চোরের মন বোঁচকার দিকে
৪১৫ আরশোলাও পাখি, মুন্সেফও হাকিম !
৪১৬ আল্ বোড্ডে
৪১৭ আল-আঁধারি
৪১৮ আলালের ঘরের দুলাল
৪১৯ আলেয়ার আলো
৪২০ আলো শুসে নেওয়া
৪২১ আলো হাওয়া বেঁধো না /রোগে ভোগে মরো না।
৪২২ আলোকপাত করা
৪২৩ আলোচাল দেখলে ভেড়ার মুখ চুলকায়
৪২৪ আলোর পর আঁধার
৪২৫ আলোয় আলোয়
৪২৬ আল্লায় দিয়া ধন দেখে মন,/ কাইড়া নিতে কতক্ষণ।
৪২৭ আলস্য হেন ধন থাকতে দুঃখের অভাব কি?
৪২৮ আঁশ মেটানো
৪২৯ আশু সমাধান
৪৩০ আশা আর ফুঁ আছে, দুধ আর বাটি নেই ।
৪৩১ আশা আর বাসা ছোট করে মরে চাষা ।
৪৩২ আশা করেছেন কাও, পাকলে খাবেন ডেও ।
৪৩৩ আশা বৈতরণী নদী ।
৪৩৪ আশাই পরম দুঃখ, নিরাশাই পরম সুখ ।
৪৩৫ আশার অর্ধেক ফল
৪৩৬ আশার চেয়ে নিরাশা ভাল, হয়ে গেল তো হয়ে গেল ।
৪৩৭ আশার শেষ নেই
৪৩৮ আশায় আমার পড়ল ছাই, এখন বল কোথায় যাই ?
৪৩৯ আশায় খেলিছে পাশা ।
৪৪০ আশায় জল ঢেলে দেওয়া
৪৪১ আশায় বুক বাঁধা
৪৪২ আশায় বাঁচে চাষা, 
৪৪৩ আশায় মরে চাষা
৪৪৪ আশ্বিনমাসে কুঠে পাঁঠাতেও কড়ি ।
৪৪৫ আষাঢ় মাসে বান্ধে আইল/ তবে খায় বহু শাইল।
৪৪৬ আষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরো/ ধান লাগাও যত পারো/ পটল বুনলে ফাগুনে/ ফলন বাড়ে দ্বিগুণে/ ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি/ কলাই করি যত পারি।
৪৪৭ আষাঢ়ের পানি। তলে দিয়া গেলে সার। উপরে দিয়া গেলে ক্ষার।।
৪৪৮ আষাঢ়ে গল্প
৪৪৯ আষাঢ়ে না হলে সূত, হা সূত যো সূত; ষোলতে না পুত, হা পুত যো পুত ।
৪৫০ আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়, গুয়া বনে পান গড়াগড়ি যায় ।
৪৫১ আসেন লক্ষ্মী , যান বালাই
৪৫২ আস্তাকুড়ের পাতা স্বর্গে যায় না
৪৫৩ আস্তানা গাড়া
৪৫৪ আস্তানা গুটানো
৪৫৫ আস্তিন গুটানো
৪৫৬ আসতেও একা যেতেও একা, কার সাথে বা কার দেখা ।
৪৫৭ আসন্নকালে বিপরীত বুদ্ধি
৪৫৮ আসমান জমিন ফারাক
৪৫৯ আসর গরম করা
৪৬০ আসর ঘরে মশাল নেই, ঢেঁকিশালে চাঁদোয়া ।
৪৬১ আসর জমানো
৪৬২ আসরে নামা
৪৬৩ আসল ঘরে মশাল নাই, ঢেঁকির ঘরে বাতি
৪৬৪ আসল চেয়ে সুদ মিস্টি
৪৬৫ আসলের খোঁজ নেই, সুদের খবর ।
৪৬৬ আহা, কি ভালবাসা, যেন মুসলমানের মুরগী পোষা ( মিথ্যে ভালবাসা, মুসলমানরা মুরগী পোষে কেবল মাত্র খাওয়ার জন্য)
৪৬৭ আহার নিদ্রা ভয়, যত বাড়াও তত হয় ।
৪৬৮ আহ্লাদে আটখানা, ল্যাজা মুড়ো নিয়ে দশখানা ।
৪৬৯ আহ্লাদে পুতুল
৪৭০ আহ্লাদের বউ তুমি, কেঁদোনা কেঁদোনা/ চাল চিবিয়ে খাব আমি রেঁধোনা রেঁধোনা
৪৭১ আড় নয়নে বাঁকা ভুরু, সেজন হয় নাটের গুরু
৪৭২ আড়াই আঙ্গুল দড়ি, সৃষ্টি জুড়ে বেড়ি ।
৪৭৩ আড়াই কড়ার কাসুন্দি হাজার কাকের গোল ।
৪৭৪ আড়াই প্যাঁচের বিদ্যা
৪৭৫ আড়াই হাতে লাগা
৪৭৬ আড়াল করা
৪৭৭ আড়ি পাতা
৪৭৮ আয় বুঝে ব্যয় করা
৪৭৯ আয়ত্বে আনা
৪৮০ ইঙ্গিতে বুঝলে মন, কাজ হতে কতক্ষণ !
৪৮১ ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয় ।
৪৮২ ইচ্ছা থাকে যার, উপায় হয় তার
৪৮৩ ইচ্ছার ভার বোঝা বোধ হয় না
৪৮৪ ইঁচড়ে পাকা
৪৮৫ ইজ্জত যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না ম'লে ।
৪৮৬ ইট খোলা টালি তিন নিয়ে হাঁসখালি
৪৮৭ ইট পায় না, ফুট কাটে ।
৪৮৮ ইটে নাই, ভিটে নাই, বাইরে মর্দানি
৪৮৯ ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় ।
৪৯০ ইঁদুর কপাল
৪৯১ ইঁদুর গর্ত খুড়ে মরে, সাপ এসে দখল করে ।
৪৯২ ইঁদুর দৌড়
৪৯৩ ইন্দ্রের শচী (যখন যাহার, তখন তাহার )
৪৯৪ ঈদের চাঁদ
৪৯৫ ঈমানে আমান, বেঈমানে দুনিয়া তামান
৪৯৬ ঈশান কোনের মেঘে ঝড় ওঠে বেগে ।
৪৯৭ ঈশ্বর ঈশ্বর করে যেই, তার ঘরে ভাত নেই ।
৪৯৮ ঈশ্বর করে কাম, মানুষের বদনাম ।
৪৯৯ ঈশ্বর যা করেন সবই মঙ্গলের জন্য ।
৫০০ ঈশ্বর যদি করেন কর্তা যদি মরেন, তবে ঘরে বসে কীর্তন শুনবো
৫০১ উই ইঁদুর কূজন, ভাল ভাঙ্গে তিনজন;  সূচ সোহাগা সুজন, ভাল করে তিনজন ।
৫০২ উঁচ কপালি চিঁড়ল দাঁতী লম্বা মাথার কেশ এমন নারী বিয়ে করলে ঘুরবে নানান দেশ
৫০৩ উঁচু হবে তো নিচু হও ।
৫০৪ উচা মোটা পদে মোটা নাকে বাঁশী বায়, সেই কন্যা বিয়া কৈলে স্বামী আগে খায়।
৫০৫ উঁচান বাড়ি বড় ভয়, পড়লে বাড়ি সয়ে যায় ।
৫০৬ উচিত কথা শুনতে তিতা ।
৫০৭ উচিত কথার ভাত নাই ।
৫০৮ উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট, উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট ।
৫০৯ উচিত কথায় বন্ধু বেজার, গরম ভাতে বিলাই বেজার ।
৫১০ উচোট খেয়ে প্রনাম
৫১১ উচ্ছের কচি, পটোলের বীচি, ছাগের (শাকের) ছা, মাছের মা এইগুলো বেছে খা
৫১২ উজানে কৈ
৫১৩ উজাড় বনে শিয়াল রাজা ।
৫১৪ উটকো ঝামেলা পোহানো
৫১৫ উঠান ভরা লাউ শসা/ ঘরে তার লক্ষীর দশা
৫১৬ উঠি উঠি করা
৫১৭ উঠে যাওয়া
৫১৮ উঠে পড়ে লাগা
৫১৯ উঠন্তি মূল পত্তনেই চেনা যায় ।। উঠন্ত বৃক্ষ পত্রেই চেনা যায় । 
৫২০ উঠল বাই তো কটক যাই ।
৫২১ উত্তর দুয়ারি ঘরের রাজা/ দক্ষিণ দুয়ারি তাহার প্রজা।/ পূর্ব দুয়ারির খাজনা নাই/ পশ্চিম দুয়ারির মুখে ছাই।।
৫২২ উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়
৫২৩ উদ খেতে খুদ নেই, নেউলে বাজায় শিঙে ।
৫২৪ উদুখলে খুদ নেই, চাটগায় বরাত ।
৫২৫ উদে মাছ ধরে, খটাসে তিন ভাগ করে ।
৫২৬ উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে ।
৫২৭ উদর চিরলে ক বেরোয় না
৫২৮ উদর সর্বস্ব
৫২৯ উপকারী গাছের ছাল থাকে না ।
৫৩০ উপচে পড়া
৫৩১ উপোষে (উপবাসে) যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ ।
৫৩২ উপোসের কেউ নয়, পারণের (পারণার) গোঁসাই 
৫৩৩ উপদেশ দেওয়া অপেক্ষা দৃষ্টান্ত ভালো
৫৩৪ উপর থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ সাত, যার যেখানে ব্যাথা তার সেখানে হাত 
৫৩৫ উপরি পাওনা
৫৩৬ উপরে বাবুয়ানা, ভিতরে খড়ের বেনা ।
৫৩৭ উপরের দিকে থু থু ফেললে নিজের গায়েই পড়ে ।
৫৩৮ উপরোধে ঢেঁকি গেলা ।
৫৩৯ উপস্থিত অন্ন ত্যাগ করতে নাই
৫৪০ উভয় সংকট
৫৪১ উলু বনে কেত্তন
৫৪২ উলোর মেয়ের কুলুজী, অগ্রদ্বীপের খোঁপা, শান্তিপুরের হাত নাড়া, গুপ্তিপাড়ার চোপা 
৫৪৩ উলট পুরাণ
৫৪৪ উলটা বুঝলি রাম !
৫৪৫ উল্টে চোরা মশান গায় 
৫৪৬ উলুবনে মুক্তো ছড়ানো ।
৫৪৭ উলুবনে সাঁতার দেওয়া
৫৪৮ উসকো মাটিতে বিড়াল হাগে
৫৪৯ উড়িয়ে দেওয়া
৫৫০ উড়ে এসে জুড়ে বসা ।
৫৫১ উড়ে যাওয়া
৫৫২ উড়ে, নেড়ে, গলায় দড়ে, কথা কইবে এ তিন ছেড়ে
৫৫৩ উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ 
৫৫৪ উড়তে না পেরে পোষ মানা ।
৫৫৫ উড়তে পারে না ফুরফুর করে ।
৫৫৬ ঊন বর্ষায় দুনো শীত
৫৫৭ ঊনিশ- বিশ
৫৫৮ ঊনপাঁজুরে বরাখুরে 
৫৫৯ ঊনপঞ্চাশ বায়ু
৫৬০ ঊনভাতে দুনো বল, অধিক ভাতে রসাতল ।
৫৬১ ঊরুত বেয়ে রক্ত পড়ে, চোখ গেল রে বাবা !
৫৬২ ঋণ করে ঘি খাও ।
৫৬৩ এ কি বিধির লীলাখেলা, কাকের গলায় তুলসী মালা ।
৫৬৪ এ কি মোর জ্বালা, মেয়ে চামকাট ভালা, কানে দু'টা ঘুরঘুরে গ্মায় মতির মালা
৫৬৫ এ তো মুলোবাড়ী নয়, এ যে বেগুনবাড়ী
৫৬৬ এ পাড়ায় যদি ওষুধ খাওয়ায়, ও পাড়ায় মরে গণ্ডা দশ
৫৬৭ এই ডুমুরের গুমর (গরব) কর, পাকলে ডুমুর পড়ে মর ।
৫৬৮ এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে । এই দিন নিয়ে যাবে সেই দিনের কাছে ।
৫৬৯ এই বিড়াল বনে গেলে বন-বিড়াল হয়
৫৭০ এই মানুষ বনে গেলে বন-মানুষ হয়
৫৭১ এক আঙুলে তুড়ি লাগে না ।
৫৭২ এক আঁচড়ে চেনা যায় ।
৫৭৩ এক ওয়াকিফহাল, সাত নবিসিন্দা
৫৭৪ এক কাটে ভারে, এক কাটে ধারে
৫৭৫ এক কাঠি বাজে না ।
৫৭৬ এক কাঁদির কলা
৫৭৭ এক কান কাটা যায় লুকিয়ে চুরিয়ে, আর দুইকান কাটা যায় সবার সামনে দিয়ে ।। এক কান কাটা শহরের বার দে যায়, দু'কান কাটা শহরের ভিতর দে যায়
৫৭৮ এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বার করা
৫৭৯ এক কেড়ে (কলসি) দুধে এক ছিটে ( ফোঁটা)  চোনা ।
৫৮০ এক কলসি জল তুলে কাঁকালে দিলে হাত, এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত
৫৮১ এক ক্ষুরে মাথা কামানো (মুড়ানো)
৫৮২ এক কড়ার মুরোদ নেই, ভাত মারার গোঁসাই
৫৮৩ এক গাছের ছাল অন্য গাছে জোড়া লাগে না ।
৫৮৪ এক গালে চুন, এক গালে কালি
৫৮৫ এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা
৫৮৬ এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর
৫৮৭ এক গোয়ালে বিয়াইছে গাই, সেই রিস্তায় খালাতো ভাই
৫৮৮ এক গোয়ালের গরু
৫৮৯ এক গুরলে ( বা গুলতিতে) দুই পাখি মারা
৫৯০ এক চাঁদে জগত আলো
৫৯১ এক চির পান দু চির হল, সোনার সিংহাসনে ভাগ বসিল
৫৯২ এক চোখে কান্না, আর এক চোখে হাসি
৫৯৩ এক চোখে তেল, আর এক চোখে নুন বেচা।
৫৯৪ এক ছাদের তলায় আনা
৫৯৫ এক ছেলে তার ফুলের শয্যে, পাঁচ ছেলে তার কাঁটার শয্যে
৫৯৬ এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা (জনসংখ্যা বাড়ুক সেই ইঙ্গিত)
৫৯৭ এক জায়গায় খাল কেটে আর এক জায়গার খাল ভরানো ।
৫৯৮ এক জায়গায় থাকলে হাড়িতে কড়াইতে ঠকাঠুকি হয়
৫৯৯ এক জন গেলে, হাজার জন আসবে ।
৬০০ এক ঝিকরে মাছ বেঁধে না সে-ই বা কেমন বড়শি, এক ডাকেতে সাড়া দেয় না সেই বা কেমন পড়শি
৬০১ এক টাকা হোক কামাই, গাবী যেন না হয়।
৬০২ এক টাকার শোক, আর এক ব্যাটার শোক।
৬০৩ এক যাত্রায় পৃথক ফল
৬০৪ এক ডাকে চেনা
৬০৫ এক দোর বন্ধ তো হাজার দোর খোলা
৬০৬ এক ধাপ এগোনো
৬০৭ এক ধারে কাটে আর এক ভারে কাটে।
৬০৮ এক পা জলে, আর এক পা স্থলে
৬০৯ এক পাগলে রক্ষা নেই সাত পাগলের মেলা
৬১০ এক পাঁঠা তিনবার কাটা
৬১১ এক প্যালে খাই আর এক পরবে খাই।
৬১২ এক পুতের আশা, আর নদীর কূলে বাসা
৬১৩ এক পুরুষে রোপে তাল,/ অন্য পুরুষে করে পাল।/ তারপর তিন পুরুষে খাবে ফল
৬১৪ এক পয়সা জমানো মানে এক পয়সা রোজগার করা
৬১৫ এক পয়সা নাই থলিতে, লাফিয়ে বেড়ায় গলিতে
৬১৬ এক পয়সা মা বাপ
৬১৭ এক বাপের এক ব্যাটা, হয় বোকা, না হয় ঠ্যাঁটা।
৬১৮ এক বার হ্যাগলে দু:খি, দুই বার হ্যাগলে সুখি, তিন বার হ্যাগলে রুগী।
৬১৯ এক বারের রোগী আর বারের রোজা
৬২০ এক ব্যঞ্জন ভাত, তাও আবার নুনে পোড়া
৬২১ এক বুদ্ধি ভালা, দুই বুদ্ধি আরো ভালা বেশী বুদ্ধি আলাজ্বালা।
৬২২ এক বনে দুই বাঘ
৬২৩ এক বরের মাগ হেলাফেলা ( হেলাদোলা),  দোজবরের মাগ গলার মালা 
৬২৪ এক বুড়ির নানা দোষ, নাকের উপরে হল খোস
৬২৫ এক ভস্ম আর ছার, দোষগুণ কব কার ?
৬২৬ এক মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায়, পাঁচমুখ ছাই দিয়েও ভরা যায় না ।
৬২৭ এক মুখে দুই কথা
৬২৮ এক মাঘে শীত যায় না।
৬২৯ এক মানিক সাত রাজার ধন
৬৩০ এক মায়ের এক পুত, খায় দায় যমের দুত ।
৬৩১ এক মন হলে সমুদ্র শুকায়
৬৩২ এক মুরগি সাত জায়গায় জবাই ।
৬৩৩ এক রত্তি দড়ি, সকল ঘর বেড়ি
৬৩৪ এক লাউয়ের বীচি, কেউবা করে কচর কচর, কেউ বা আছে কচি ।
৬৩৫ এক লাফে বেড়ে যাওয়া
৬৩৬ এক লায়ে সয় আর এক মায়ে সয়।
৬৩৭ এক শিয়াল ডাকলে সব শিয়াল ডেকে ওঠে ।
৬৩৮ এক সের জিনিসে পাঁচ সের ঠকানো
৬৩৯ এক সোহাগীর সাত ভাতার, তাও সোহাগীর মন ব্যাজার।
৬৪০ এক সুতোয় গাঁথা
৬৪১ এক সুর
৬৪২ এক সূর্যে রোদ পোহানো
৬৪৩ এক হাটে কিনে আর এক হাটে বেচা ।
৬৪৪ এক হাত নেওয়া
৬৪৫ এক হাতে তালি বাজে না।
৬৪৬ এক হেঁসেলে তিন রাঁধুনি, পুড়ে (পড়ে) মরে তার ফ্যান গালুনি ।
৬৪৭ একই ছবি
৬৪৮ একই ঝুড়িতে সব ডিম না রাখা
৬৪৯ একই রাস্তায় হাটা
৬৫০ এককে আর, দেখবে বেগার
৬৫১ একা ঘরের একা বউ খেতে বড় সুখ, মারতে এলে ধরতে নাই তাই বড় দুখ ।
৬৫২ একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর 
৬৫৩ একাই একশ
৬৫৪ একাদশে বৃহস্পতি
৬৫৫ একচোখো
৬৫৬ একে তো নাচুনী বুড়ি,/তার উপর ঢোলের বাড়ি
৬৫৭ একে তো মধুপর্কের বাটি, তায় আবার কাত ।
৬৫৮ একে মা মনসা তায় ধুনোর গন্ধ 
৬৫৯ একে মিন মিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট ।
৬৬০ একে রাঁড়ের ভাত, তায় মুসুরের ডাল
৬৬১ একে রুনু ঝণু, দুইয়ে পাঠ, তিনে গণ্ডগোল, চারে হাট
৬৬২ একেন পাপ সতেন কিংবা
৬৬৩ একটি ইঁদুর যদি নড়ে, চোরের মন ধড়ফড় করে
৬৬৪ একটি ভাত টিপে হাড়ি সুদ্ধ ভাতের খবর নেওয়া
৬৬৫ একতাই বল
৬৬৬ একতায় উত্থান বিভেদে পতন
৬৬৭ একদিন খায় না রাগে, পরের দিন বয় সকলের আগে।
৬৬৮ একদিন ঘি-রুটি, একদিন দাঁত চিরকুটি
৬৬৯ একবার না পারিলে দেখ শতবার।
৬৭০ একবার পথ হারানোর চেয়ে দুইবার অনুসন্ধান করে নেওয়া ভালো
৬৭১ একবার রাজাকার আজীবন রাজাকার, একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়।
৬৭২ একবরে ভাতারের মাগ, চিংড়িমাছের খোসা, দোজবরে ভাতারের মাগ নিত্যি করেন গোঁসা, তেজবরে ভাতারের মাগ সঙ্গে বসে খায়, ছাড়বরে ভাতারের মাগ কাঁধে চড়ে যায়
৬৭৩ একবরে মাগ নাড়ে চাড়ে, দোজবরে মাগ পুড়িয়ে মারে
৬৭৪ একূল ওকূল দুকূল যাওয়া
৬৭৫ একলা ঘরের গিন্নি হব, চাবি কাঠি ঘুরিয়ে যাব ।। একলা ঘরের গিন্নি হব, চাবি কাঠি ঝুলিয়ে নাইতে যাব ।
৬৭৬ একুশ কোঁড়া গুণে খান, ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যান
৬৭৭ একশো- আশি ডিগ্রী ঘুরে যাওয়া
৬৭৮ এখনই রসগোল্লা খেয়েছি, চায়ে আর চিনি দিও না ।
৬৭৯ এগুলেও নির্বংশের বেটা, পেছুলেও নির্বংশের বেটা
৬৮০ এঙ যায় ব্যাঙ যায়,  খোলসে বলে আমিও যাই
৬৮১ এঙ্গও যায় বেঙ্গও যায় লগে লগে খইয়া মাছও যায়
৬৮২ এঁচোড়ে পাকলে শীঘ্রই গোল্লায় যায়
৬৮৩ এ্যাত লালী আদেসের লয়।
৬৮৪ এঁটে ওঠা
৬৮৫ এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে, ছেড়ে দিলে লঙ্কা মারে
৬৮৬ এঁটো খায় মিঠার লোভে, যদি এঁটো মিঠা লাগে
৬৮৭ এঁটো পাত ( আস্তাকুড়ের পাতা) কখনও স্বর্গে যায় না
৬৮৮ এত সূক্ষ্ম যে নাই বললেও হয়
৬৮৯ এত সুখ কপালে, ছেঁড়া কাঁথা বগলে
৬৯০ এদিক নেই, ওদিক আছে
৬৯১ এনে দাও কাছে মারি, বাপের পূণ্যে নড়তে নারি
৬৯২ এবারকার রোগী, সেবারকার রোজা
৬৯৩ এমনি যায় না মাস, আবার দু'দিন বেশি
৬৯৪ এমনি তে ছাই, তার উপর আবার বাতাস
৬৯৫ এমনি নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি
৬৯৬ এর মুন্ডু ওর ঘাড়ে
৬৯৭ এল শ্রাদ্ধের গুঁতো দক্ষিণা
৬৯৮ এড়ে (ছেড়ে) দিয়ে তেড়ে ধরা
৬৯৯ এঁড়ে গরু, না টেনে দো ।
৭০০ ওজন বুঝে চলা
৭০১ ওঝার ঘাড়ে ভুতের বোঝা
৭০২ ওঝার বেটা বনগরু
৭০৩ ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে, নেকড়ায় আগুন দিয়ে
৭০৪ ওঠা ধানের পথ্যি হয় না
৭০৫ ওষুধার্থে সুরাপান
৭০৬ ওষুধে কাজ হয়েছে
৭০৭ ওস্তাদের মার শেষ রাতে
৭০৮ ক অক্ষর গোমাংস
৭০৯ কংস মামার আদর
৭১০ কংস রাজার বদ (বধ) ফরমাস
৭১১ কই মাছের প্রাণ
৭১২ কইতে জানলে ঠকি না, বসতে জানলে উঠি না
৭১৩ কইনি জাঁইক মারো, যাতে সোজা হয় সেই ব্যবস্তা করো।
৭১৪ কইলে যায় মনের দুঃখ খাইলে যায় পেটের ভুখ।
৭১৫ কইলে বুঝেনা যে, এর নাম ঢগা বে আকলি মাত্ মাতে যে, এরে কয় পগা।
৭১৬ কুকাটনি খড়ি খাবার যম
৭১৭ কুকুর রাজা হলেও জুতো খায়
৭১৮ কুকুরকে নাই (লাই) দিলে মাথায় ওঠে
৭১৯ কুকুরের ওজর আছে তো চাকুরের ওজর নেই ।
৭২০ কুকুরের কামড় হাটুর নীচে
৭২১ কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না ।
৭২২ কুকুরের মুগের ( বা ঘি) পত্তি, কুকুর বলে আমার এ কি বিপত্তি
৭২৩ কুকুরের লেজে ঘি ঢেলে টানলেও সোজা হয় না ।
৭২৪ কখনও খেয় না তালে আর ঘোলে, কখনও ভুলো না ঢেমনের বোলে
৭২৫ কাঁই ছাড়া আলু নাই, মাই ছাড়া মানুষ নাই।
৭২৬ কাউয়ার উপর কামানের গুলি।
৭২৭ কাক ও কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন
৭২৮ কাক কোকিলের সমান দর
৭২৯ কাক খায় কাঁঠাল, বকের মুখে আঠা
৭৩০ কাক জ্যোৎস্না
৭৩১ কাক নিল কান, কাকের পিছে পিছে যান
৭৩২ কাক মনে করে আমি বড় সেয়ানা
৭৩৩ কাক মরল ঝড়ে, পেঁচা বলে আমার শাপ লাগল হাড়ে হাড়ে
৭৩৪ কাক সবার মাংস খায়, কাকের মাংস কেউ খায় না
৭৩৫ কাকের উপর কামানের চেষ্টা
৭৩৬ কাকের ছা বকের ছা
৭৩৭ কাকের ডিমও সাদা হয়, বিদ্বানের ছেলেও গাধা হয়
৭৩৮ কাকের পিছে ফিঙে লাগা
৭৩৯ কাকের বাসায় কোকিলের ছা, জাত স্বভাবে কাড়ে রা (রা=রব)
৭৪০ কাকের মুখে কৃষ্ণ কথা
৭৪১ কাকের মাংস কাকে খায় না, জোঁকের গায়ে জোঁক বসে না 
৭৪২ কাকের লুকানো
৭৪৩ কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং
৭৪৪ কাগের বাসা
৭৪৫ কাগজ, কলম কালি -- তিন নিয়ে বালি
৭৪৬ কাগুজে বাঘ
৭৪৭ কাঙ্গালি মেরে কাছারি গরম
৭৪৮ কাঙ্গালের মরণ বিটকেল
৭৪৯ কাঙ্গলা আপনা সামলা 
৭৫০ কাঙাল বিদায়
৭৫১ কাঙালকে শাকের ভুঁই দেখাতে নেই
৭৫২ কাঙালের কথা বাসি হলে মিঠে
৭৫৩ কাঙালের ঘোড়া রোগ
৭৫৪ কাঙালের চাইতে জঞ্জাল ভাল।
৭৫৫ কাঙালের ঠাকুর ব্যাধি
৭৫৬ কাঙালের মুড়কিই সন্দেশ
৭৫৭ কাঙালের রাংতাই সোনা
৭৫৮ কাঁচা গাথুনির দুনো খাটুনি
৭৫৯ কাঁচা গুয়ে ঢিল মারা
৭৬০ কাঁচা বাঁশ, নদীর ধারে বাস, নারীর মুখের হাঁস- এই তিনে সর্বনাশ।
৭৬১ কাঁচা বাঁশে ঘুন ধরে
৭৬২ কাঁচা মাটিতে পা দেওয়া
৭৬৩ কাঁচা রোপা শুকায়/ ভুঁইয়ে ধান ভুঁইয়ে লুটায়।
৭৬৪ কাঁচায় না নোয়ালে বাস পাকলে করে ঠাস ঠাস ( ট্যাঁস ট্যাঁস)
৭৬৫ কাচে কাঞ্চনে সমান
৭৬৬ কাঁচপোকায় আরশুলা ধরা
৭৬৭ কাছা আলগা
৭৬৮ কাছা খুলতে দেরি হওয়া
৭৬৯ কাছা খুলতে দেরি হয়, ভাগ্য খুলতে দেরি হয় না ।
৭৭০ কাছা দিতে কোঁচা আঁটে না, কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না
৭৭১ কাছা দেয়ার কাপড় নেই, মাথার উপর ঘোমটা চাই
৭৭২ কাজ আটকালে বুদ্ধি যোগায়
৭৭৩ কাজ চলা
৭৭৪ কাজ দেখানো
৭৭৫ কাজ নেই কাজ করে, ধানে চালে এক করে
৭৭৬ কাজ সেরে বসি, শত্রু মেরে হাসি
৭৭৭ কাজ হাসিল করা
৭৭৮ কাজও নেই, কামাইও নেই
৭৭৯ কাজীর কাছে হিঁদুর পরব
৭৮০ কাজীর গাই কিতাবে আছে, গোয়ালে নাই
৭৮১ কাজীর বিচার
৭৮২ কাজে এড়া ভোজনে দেড়া
৭৮৩ কাজে কম ভোজনে যম
৭৮৪ কাজে কুঁড়ে, ভোজনে দেড়ে, বচনে মারে তেড়ে ফুঁড়ে
৭৮৫ কাজের কাজ
৭৮৬ কাজের কাজি
৭৮৭ কাজের বেলা পায় না খুঁজে,  খাওয়ার বেলায় আগে
৭৮৮ কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাজি
৭৮৯ কাজের বেলায় ভাগে, খাওয়ার বেলায় আগে
৭৯০ কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ
৭৯১ কাজের মধ্যে দুই, খাই আর শুই
৭৯২ কাজের লোক
৭৯৩ কাটা কইয়ের ন্যায় ছটফট করা
৭৯৪ কাটা কান চুল দিয়ে ঢাকি
৭৯৫ কাঁটা গাছের তলায় থাকা
৭৯৬ কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে
৭৯৭ কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা
৭৯৮ কাঁটা বিছানো
৭৯৯ কাঁটা বিনা কমল নাই, কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই
৮০০ কাঁটায় কাঁটায়
৮০১ কাটিলে রক্ত নাই, কুটিলে মাংস নাই
৮০২ কাটতে কাটতে নির্মূল
৮০৩ কায়দার বাগেরহাট/ বেকায়দার ফকিরহাট/ চিত কারেঙ্গা চিতলমারী/ ভুট করেঙ্গা ভুটেমারী
৮০৪ কাঠ খায়, আঙ্গারা হাগে
৮০৫ কাঠখড় পোড়ানো
৮০৬ কাঁঠাল খেয়ে লাগল আঠা, তেল দিয়ে ঘুচাও লেঠা
৮০৭ কাঁঠালের আমসত্ত্ব
৮০৮ কাঠি দেওয়া
৮০৯ কাঠের বিড়াল হোক তাতে কি বা আসে যায়, ইঁদুর ধরে কিনা সেটাই বিষয়
৮১০ কাঠের ভিতর পিঁপড়ে বলে, চিনি নইলে বাবু নি, চিন্তামণি চিন্তা করে যোগান তারে অমনি
৮১১ কাঠবিড়ালীর সেতু বন্ধন
৮১২ কাঠবিড়ালের সাগর বাঁধা
৮১৩ কাদা ঘেঁটো না
৮১৪ কাদা চিংড়ি তেল খাবার যম
৮১৫ কাদা ছোঁড়া
৮১৬ কাদায় গুণ ফেলে বাস করা
৮১৭ কাঁধ দেওয়া
৮১৮ কাঁধে কাঁধে মেলানো
৮১৯ কাঁধে কুড়ুল, বনময় খোঁজা
৮২০ কাঁধে ঝোলা নেওয়া
৮২১ কাঁধে নেওয়া
৮২২ কান কাটা যাওয়া
৮২৩ কান কাঁদেন সোনারে, সোনা কাঁদেন কান রে
৮২৪ কান কেটে কুত্তার পায়ে দেওয়া
৮২৫ কান খাড়া করা
৮২৬ কান গরম করে দেওয়া
৮২৭ কান ঘেঁষে যাওয়া
৮২৮ কান চায় সোনা, সোনা চায় কান
৮২৯ কান চায় সোনারে, সোনা চায় কানেরে
৮৩০ কানু ছাড়া গীত নাই
৮৩১ কান টানলে মাথা আসে
৮৩২ কান দেওয়া
৮৩৩ কান পাতা
৮৩৪ কান পাতলা
৮৩৫ কান ফাটান
৮৩৬ কান ভাঙানো
৮৩৭ কান ভারি করা
৮৩৮ কানা (বা অন্ধ ) ক'বার নড়ি হারায়
৮৩৯ কানা কানি
৮৪০ কানা কুঁজো খোঁড়া তিন অসতের গোঁড়া
৮৪১ কানা খোঁড়ার একগুণ বাড়া
৮৪২ কানা গরু বামনকে দান
৮৪৩ কানা গরুর ভিন্ন পথ
৮৪৪ কানা গরুর ভিন্ন মাঠ (বা গোঠ)
৮৪৫ কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন
৮৪৬ কানা পুতে পোষে, রাজার বউ শোষে
৮৪৭ কানা পুতে পোষে, রাজার বেটি শোষে
৮৪৮ কানা পুতের নানা রোগ
৮৪৯ কানা মেঘের বৃষ্টি, সর্বত্র নয় দৃষ্টি
৮৫০ কানা, খোঁড়া, ভেঙ্গুর শয়তানের লেঙ্গুর
৮৫১ কানা, খোঁড়ার একগুণ বাড়া
৮৫২ কানাকানি
৮৫৩ কানাকানি পড়ে যাওয়া
৮৫৪ কানার আবার রাতই কি আর দিনই কি?
৮৫৫ কানায়ে ভাগিনা
৮৫৬ কানে আঙুল দেওয়া
৮৫৭ কানে খাটো
৮৫৮ কানে তোলা
৮৫৯ কানে তুলো গোঁজা
৮৬০ কানে দিয়েছি তুলো, পিঠে বেঁধেছি কুলো
৮৬১ কানে ধরে বলা
৮৬২ কানের জল, জল দিয়েই বেরোয়
৮৬৩ কান্দে কান্দে না মিশলে কুটুম্বিতালী হয় না।
৮৬৪ কাপড় দিয়ে আগুন ঢাকা
৮৬৫ কাপড় হলে পচা, আঙ্গুল হয় খোঁচা
৮৬৬ কাপুড়ে বাবু
৮৬৭ কাপড়ের তলে সবাই ল্যাঙটা।
৮৬৮ কাপড়ের দাগ যায় ধুলে, মনের দাগ যায় ম'লে
৮৬৯ কাম করা লয়, চিত্তি পুরান; ঢিকি দিয়ে কান চুলকানো
৮৭০ কাম ত পারে না, বন্দুক ঘাড় ত ল্যায়।
৮৭১ কাম থুয়্যা মারে মাছ, অলক্ষী লাগে পাছ।
৮৭২ কাম নাই পাঁটার মকমকিই সার।
৮৭৩ কামাতে পারে না নাপিত, ধামা ভরা ক্ষুর । কামাতে কামাতে যায় রঘুনাথপুর ।
৮৭৪ কামান দাগা
৮৭৫ কামানো মাথায় ক্ষুর বোলানো
৮৭৬ কামার বুড়ুলে লোহা শক্ত হয়
৮৭৭ কামারকে ইস্পাত ফাঁকি
৮৭৮ কামারের কাছে ছুঁচ বেচতে আসা
৮৭৯ কামারের কাছে লোহা চুরি
৮৮০ কামারের কাছে লোহা জব্দ
৮৮১ কামারের কুমোর বৃত্তি
৮৮২ কামে কুঁড়্যা, ভোজনে ডের‌্যা।
৮৮৩ কামলা আপনি সামলা
৮৮৪ কামড়া কামড়ি
৮৮৫ কার কপালে কেবা খায়
৮৮৬ কার শ্রাদ্ধ কে বা করে, খোলা কেটে বামুন মরে
৮৮৭ কার সাধ্য কেবা মারে খোদা যারে রাজি 
৮৮৮ কারে পড়লে আল্লার নাম
৮৮৯ কারো ঘর পোড়ে, কেউ আগুন পোহায়
৮৯০ কারো ঘর পোড়ে, কেউ ধোঁয়া খায়
৮৯১ কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ
৮৯২ কারো শাকে বালি, কারো দুধে চিনি
৮৯৩ কারণ বই কার্য নাই
৮৯৪ কার্ত্তিক ঠাকুর হ্যাংলা, একবার আসে মায়ের সাথে একবার আসে একলা
৮৯৫ কাল যায়,  না জল যায়
৮৯৬ কাল ধানের ধলা পিঠা,/ মা'র চেয়ে মাসি মিঠা।
৮৯৭ কাল বামুন, কটা শুদ্র, বেঁটে মুসলমান, ঘরজামাই, পোষ্যপুত্র পাঁচজনই সমান 
৮৯৮ কাল রাম রাজা হবে, আজ বনবাস
৮৯৯ কালঘাম ছোটা
৯০০ কালা গরু কালেশ্বর/ বাছুর বিয়ায় নাগেশ্বর/ যদি বাছুর ওহরে/ দুধ পারে টোহরে।।
৯০১ কালা পাহাড়
৯০২ কালা পুরুত, তোতলা যজমান
৯০৩ কালা বামুন, নম:শূদ্র, বেটে মুসলমান/ ঘর জামাই, পোষ্য পুত্র; এ পাচজনই সমান (কিশোরগঞ্জ)
৯০৪ কালা বলে গায় ভালো, অন্ধ বলে নাচে ভালো ।
৯০৫ কালা বলে গায় ভালো, কানা বলে নাচে ভালো ।
৯০৬ কালা শুনে ঢাকের বাদ্যি, কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্যি 
৯০৭ কালি কলম পাত, যেমন তেমন হাত
৯০৮ কালি কলম পাত, তবে লেখার হাত
৯০৯ কালি কলম মন, লেখে তিন জন
৯১০ কালি ছিলাম বসে স্বর্ণপিড়ে, আজ বসেছি আস্তাকুঁড়ে
৯১১ কালী কালী বনমালী, শেখ পরাণে জয়ধর আলি 
৯১২ কালীঘাটের কাঙ্গালী
৯১৩ কালীঘাটের চন্ডীপাঠ
৯১৪ কালীর অক্ষর নাইকো পেটে, চন্দী পড়ে কাছা এঁটে
৯১৫ কালীর দোহাই দিয়ে পাঁঠা খাওয়া
৯১৬ কালীর শোভা করে অসি, শিবের শোভা শিরে শশী
৯১৭ কালে আবজায় তুলে বেচে, তার বাড়া কি ফসল আছে ?
৯১৮ কালে কালে কতই হল, পুলি পিঠের লেজ গজালো
৯১৯ কালে ভদ্রে
৯২০ কালের আবার কালাকাল
৯২১ কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা
৯২২ কালো কাপড়, রুখু মাথা,  লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা ?
৯২৩ কালো জগতের আলো
৯২৪ কালো টাকা
৯২৫ কালো বামুন, গোরা হাড়ি, বেঁটে মুসলমান বদমাশ হয়
৯২৬ কালো মেয়ে কি থাকবে ঘরে, সব বিকোবে বাজার দরে।
৯২৭ কালো হাড়ি কেয়াপাত, তবে দেখবি জগন্নাথ
৯২৮ কালোয় কালোয় ধলো হয় না
৯২৯ কালনেমির লঙ্কা ভাগ
৯৩০ কাশীতে ভূমিকম্প
৯৩১ কাশীধামে কাক মরেছে, কুমিল্লাতে হাহাকার
৯৩২ কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড়
৯৩৩ কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড়
৯৩৪ কায়েতের ঘরের বিড়ালটাও আড়াই অক্ষর পড়ে
৯৩৫ কায়েতের ছেলের কলমের আগায় ভাত
৯৩৬ কায়েতের মূর্খ, কলুর বলদ
৯৩৭ কি অপূর্ব সৃষ্টি, মা তিঁত ছা মিষ্টি
৯৩৮ কি কথা বলব সই, পান্তা ভাতে টক দই
৯৩৯ কি কর শ্বশুর মিছে খেটে/ ফাল্গুনে এঁটে পোত কেটে/ বেড়ে যাবে ঝাড়কি ঝাড়/ কলা বইতে ভাংগে ঘাড়।
৯৪০ কি করো শ্বশুর লেখা জোখা,/ মেঘেই বুঝবে জলের রেখা।/ কোদাল কুড়ুলে মেঘের গাঁ,/ মধ্যে মধ্যে দিচ্ছে বা।/ কৃষককে বলোগে বাঁধতে আল,/ আজ না হয় হবে কাল।
৯৪১ কি যাতনা বিষে, বুঝিবে ষে কিসে, কভু আশীর্বিষে দংশেনি যারে
৯৪২ কি দিব কি দিব খোটা, গয়ায় মরেছে বাপ-বেটা
৯৪৩ কি বলব ভাসুর ঘরে, নইলে তোর ছেলে মোর ছেলে মারে?
৯৪৪ কিনা মুরগীর ঠোঁটহিনি গোস্ত।
৯৪৫ কিনতে ছাগল, বেচতে পাগল
৯৪৬ কিবা জ্যেষ্ঠ, কি কনিষ্ঠ,  যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ 
৯৪৭ কিল খেয়ে কিল চুরি করা
৯৪৮ কিল খেয়ে কিল হজম করা
৯৪৯ কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো
৯৫০ কিসে আর কিসে, ধানে আর তুষে
৯৫১ কিসে নাই কি, (তার) পান্তা ভাতে ঘি
৯৫২ কিসের নাই কি, বেগুন পোড়ায় ঘি
৯৫৩ কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত হয়
৯৫৪ কচু পোড়া খাওয়া
৯৫৫ কচি খুকি, কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খান ।
৯৫৬ কচি পাঁঠা, পাকা মেষ, দইয়ের আগা, ঘোলের শেষ- এইগুলো খেতে বেশ ।
৯৫৭ কীচক বধ 
৯৫৮ কচ্ছপের কামড় 
৯৫৯ কচ্ছপের প্রাণ
৯৬০ কচুবনের কালাচাঁদ
৯৬১ কচুর বেটা ঘেচু, বড় বাড়েন তো মান ।
৯৬২ কে আছ গোঁ পুতন্তি, স্নান করোগে রটন্তী।
৯৬৩ কে জানে তার লেখাজোখা, তিন চাঁড়ালের তিন টাকা
৯৬৪ কেউ খায় ভালা চিজ কেউ খায় বুরা, কেউ অয় পীর-ফকির কেউ অয় চোরা।
৯৬৫ কেউ দিলে কেউ পায়
৯৬৬ কেউ মদ বেচে দুধ খায়, কেউ দুধ বেচে মদ খায় 
৯৬৭ কেউ মরে কেউ হরি হরি বলে
৯৬৮ কেউ মরে বিল সেচে, কেউ খায় কই
৯৬৯ কেঁচো খুড়তে কেউটে
৯৭০ কেঁচো খুড়তে সাপ
৯৭১ কেঁচো দিয়ে কাতলা ধরা
৯৭২ কেটে পড়া
৯৭৩ কেঁদে কূল পাওয়া
৯৭৪ কেঁদে হাট করা
৯৭৫ কেমন (তোমার যেমন) ভালবাসা, মুসলমানের মুরগি পোষা
৯৭৬ কেল্লা ফতে করা
৯৭৭ কেল্লা মেরে দেওয়া
৯৭৮ কোকিল বঁধু ছেলে ধরতে জানেন না
৯৭৯ কোট ধরে বসে থাকা
৯৮০ কোথাকার জল কোথায় গড়ায়
৯৮১ কোথাকার জল কোথায় যায়
৯৮২ কোথায় ধর্মতলা আর কোথায় খাটেরতলা
৯৮৩ কোথায় রাম রাজা হবেন, না বনবাস!
৯৮৪ কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ
৯৮৫ কোন কালে (বা জন্মে) হবে পো, নেকড়া-কানি তুলে থো ।
৯৮৬ কোন কালে নাইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
৯৮৭ কোন্ কালেই বা চুরি করেছি, ঘরে ভাত নেই তাই এসেছি ।
৯৮৮ কোন জন্মে ছিল না ডুলি, আগে দুই পা তুলি
৯৮৯ কোন ঠাসা হওয়া
৯৯০ কোন বা বিয়ে, তার দু-পায় আলতা
৯৯১ কোনও বড় কাজ রাতারাতি হয় না
৯৯২ কোন্দলে জাত নষ্ট
৯৯৩ কোমর বেঁধে লাগা
৯৯৪ কোল টানা ছ ।
৯৯৫ কোলে মরে ত পোষানী দেয় না ।
৯৯৬ কুঁজী, না ঐ খুঁজি
৯৯৭ কুঁজোর কি অনিচ্ছা যে চিত হয়ে শোয়
৯৯৮ কুজনের নাহি লাজ নাহি অপমান, সুজনের এক কথা মরণ সমান ।
৯৯৯ কুঁজড়ো কাওয়ারি নুর-- তিন নিয়ে মেদিনীপুর
১০০০ ক'টি ছেলে, না পুড়িয়ে খাব ।

2 comments:

  1. brother, atleast you should've put the meanings of these proverbs. its an amazing collection.

    ReplyDelete
  2. ✍️সাহিত্যরসিক জনের মনোহরণ কারী এই সৃষ্টি ব্লগারকে স্মরণীয় রাখবেই। আরও চমকে চোখ ধাঁধানোর অপেক্ষায় রইলাম।
    ধন্যবাদ।
    🙏

    ReplyDelete