১ | অ আ ক খ শেখা |
২ | অং বং চং |
৩ | অক্কা পাওয়া |
৪ | অকাজে বউড়ী দড়, লাউ কুটতে খরতর |
৫ | অকাজের গোঁসাই |
৬ | অকারনে কিছুই ঘটে না৷ |
৭ | অকাল কুষ্মাণ্ড। |
৮ | অকাল গেল সুকাল এল, খেয়ে কাঁঠালের কোষ, এখন কি ব'লে পালাবে বোনপো দিয়ে মাসীর দোষ। |
৯ | অকাল গেল, সুকাল এল, পাকল কাঁঠালের কোষ আজ বন্ধু ছেড়ে যাও দিয়ে আমার দোষ |
১০ | অকাল বসন্ত |
১১ | অকালে কি না খায় |
১২ | অকালে খেয়েছ কচু, মনে রেখ কিছু কিছু । |
১৩ | অকালে না নোয়ালে. বাঁশ, পাকলে করে ট্যাঁশ ট্যাঁশ |
১৪ | অকালে বাড়ে সকালে মরতে |
১৫ | অকালের তাল বড় মিষ্টি |
১৬ | অকেজো নাপিতের বোঝা ভরা খুর (ক্ষুর) |
১৭ | অকেজো বউ লাউ কুটতে দড় |
১৮ | অকেজোর তিন কাজ বড়, ভোজন ক্রোধ নিদ্রা দড় । |
১৯ | অকর্মার ধাড়ি |
২০ | অকূলে কূল পাওয়া |
২১ | অকূলে ডোবা |
২২ | অকূলে ভাসা |
২৩ | অকূলের কূল |
২৪ | অক্ষর পরিচয় |
২৫ | অক্ষরে অক্ষরে |
২৬ | অক্সিজেন জোগানো |
২৭ | অকস্মাৎ বজ্রাঘাত |
২৮ | অগাধ জলের মাছ । |
২৯ | অগে পিঠে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড় |
৩০ | অগুণ মানুষ গুণ না চিনে, মূষা না চিনে বিড়ালী । অপ্রেমী যে প্রেম না চিনে, কাঠ না চিনে কুড়ালী ।। |
৩১ | অগ্নি, ব্যাধি, ঋণ, তিনের রেখ না চিন (চিহ্ন)। |
৩২ | অগভীর জলে সফরী ফরফরায়তে |
৩৩ | অগস্ত যাত্রা |
৩৪ | অঘটির ঘটি হল, জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল । |
৩৫ | অঙ্গার হাজার ধুইলেও ময়লা ছাড়ে না |
৩৬ | অঙ্গুলি হেলন |
৩৭ | অজগরের দাতা রাম |
৩৮ | অজাত জব্দ কলেবলে, শিল জব্দ নোড়ার বলে। |
৩৯ | অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার |
৪০ | অজ্ঞানে করে পাপ, জ্ঞান হলে মনস্তাপ |
৪১ | অজ্ঞানে করে পাপ, জ্ঞান হলে সরে। সজ্ঞানে করে পাপ, সঙ্গে সঙ্গে ফেরে । |
৪২ | অজ্ঞানে বাপান্ত করে, জ্ঞানবানে তাই কি ধরে ? |
৪৩ | অজ্ঞানের কালে জানে না, অমানুষের কালে মানে না । |
৪৪ | অজ্ঞানের পাপ জ্ঞানে যায়, জ্ঞানের পাপ তীর্থে যায় । |
৪৫ | অজুহাত খাড়া করা |
৪৬ | অতি আশ সর্বনাশ । |
৪৭ | অতি চালাকের গলায় দড়ি, অতি বোকার পায়ে বেড়ি । |
৪৮ | অতি চতুরের ভাত নাই, অতি সুন্দরীর ভাতার নাই । |
৪৯ | অতি দানে বলির পাতালে হল ঠাঁই । |
৫০ | অতি দর্পে হতা লঙ্কা |
৫১ | অতি পিরীত যেখানে, অতি বিচ্ছেদ সেখানে । |
৫২ | অতি প্রেমে অমিত বিচ্ছেদ |
৫৩ | অতি প্রণয় যেখানে, নিত্য যাবে না সেখানে; যদি যাবে নিত্যি, ঘটবে একটা কীর্তি । |
৫৪ | অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙ্গে যাবে, অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে |
৫৫ | অতি বাড় ভাল নয় |
৫৬ | অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর, অতি বড় সুন্দরী না পায় বর। |
৫৭ | অতি বুদ্ধির গলায় দড়ি |
৫৮ | অতি বুদ্ধির হা ভাত। |
৫৯ | অতি বড় সোদর, তিন দিন করবে আদর |
৬০ | অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ । |
৬১ | অতি মেঘে অনাবৃষ্টি |
৬২ | অতি মন্থনে বিষ উঠে । |
৬৩ | অতি লোভে তাঁতী নষ্ট । |
৬৪ | অতি সোদর হয়, গায়ে তুলে দেয়, টিকলে ( গিললে ) ত হয়। |
৬৫ | অতিথি এক ঘণ্টায় যা দেখে, গৃহকত্রী এক বছরেও তা দেখে না |
৬৬ | অতিথি সর্বময় গুরু |
৬৭ | অতিদীঘলী হয় রাঁড়ী, নির্ধন হয় নাড়ামুড়ি |
৬৮ | অতির কিছুই ভাল নয় |
৬৯ | অতিসোদর হয় গালে তুলে দেয়, না ঢিকলে ত নয় |
৭০ | অদানে অব্রাহ্মণে |
৭১ | অদন্তের দাঁত হল কামড় খেতে খেতে প্রাণ্টা গেল । |
৭২ | অদন্তের হাসি, দেখতে ভালবাসি । |
৭৩ | অদৃষ্টে করলা-ভাতে, বীচি কচ কচ করে তাতে; পড়ল বীচি বুড়োর পাতে। |
৭৪ | অদৃষ্টের কিল পুতেও কিলোয় । |
৭৫ | অদৃষ্টের ফল কে খণ্ডাবে বল ? |
৭৬ | অধঃপাতে যাওয়া |
৭৭ | অধিক খেতে করে আশা, তার নাম বুদ্ধিনাশা । |
৭৮ | অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট । |
৭৯ | অধিকন্তু ন দোষায়। |
৮০ | অধিবাসের গুঁতো সামলালে বিয়ে করা তো অল্প কথা |
৮১ | অধর্মের পথ বড়ই সরল । |
৮২ | অনাথের দৈব সখা । |
৮৩ | অনাবৃস্টে রাজ্য মজে, পাপে মজে ধর্ম; কোটালে গৃহস্থ মজে, আলস্যে মজে কর্ম । |
৮৪ | অনাহ্বানের নিমন্ত্রণ না আঁচালে বিশ্বাস নেই। |
৮৫ | অনেক কালের ছিল পাপ, ছেলে হল সতীনের বাপ । |
৮৬ | অনেক খাবে তো অল্প খাও, অল্প খাবে তো অনেক খাও । |
৮৭ | অনেক গর্জনের ফোঁটা বৃষ্টি |
৮৮ | অনেক জলের মাছ। |
৮৯ | অনেক যদি মাছ পায়, বেড়ালে কাঁটা বেছে খায় |
৯০ | অনেক সুখ কপালে, ছেঁড়া কাঁথা বগলে |
৯১ | অনেক সন্তান যার, পাপের সাজা তার |
৯২ | অনেক হল পাপ, এবার ছাড়ো বাপ |
৯৩ | অন্য লোকে ভুরা ( গুড়ের নিকৃস্টাংশ) দেয় ভাগ্যে আমি চিনি |
৯৪ | অন্যের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া |
৯৫ | অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়ার করা |
৯৬ | অন্যের বিষয়ে নাক গলানো |
৯৭ | অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা |
৯৮ | অনটনের তিন গুণ ব্যয় |
৯৯ | অনটনের সংসারে দুনো ব্যয় । |
১০০ | অন্তর টিপুনি |
১০১ | অন্ধ বিশ্বাস |
১০২ | অন্ধকার দেখা |
১০৩ | অন্ধকারে ঢিল মারা (ছোড়া) । |
১০৪ | অন্ধকারে থাকা |
১০৫ | অন্ধকারে লাউ কোটা |
১০৬ | অন্ধকারে হাতড়ানো |
১০৭ | অন্ধকে দর্পণ দেখানো |
১০৮ | অন্ধের যস্টি ( বা নড়ি) |
১০৯ | অন্ধের হস্তি দর্শন |
১১০ | অন্ন চিন্তা চমৎকার, বস্ত্র চিন্তা নৈরাকার, তার থেকে অধিক চিন্তা তামাক নেই যার । |
১১১ | অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি । |
১১২ | অন্ন ধ্বংস করা |
১১৩ | অন্ন নাই যার ঘরে, তার মানে কিবা করে । |
১১৪ | অন্ন বিনা চর্ম দড়ি, তৈল বিনা গায়ে খড়ি । |
১১৫ | অন্ন বিনা ছন্নছাড়া |
১১৬ | অন্ন বল নেই, অগ্নি বল আছে । |
১১৭ | অন্ন সংস্থান করা |
১১৮ | অন্নগত প্রাণ |
১১৯ | অন্নচিন্তা চমৎকারা, কালিদাস হয় বুদ্ধিহারা । |
১২০ | অন্নচিন্তা চমৎকারা, ঘরে ভাত নাই জীয়ন্তে মরা। |
১২১ | অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা, একদিনে লাগে তালা । |
১২২ | অনন্ত দেবের অনন্ত লীলা, ছকু দাদার আঠারো লীলা |
১২৩ | অন্নদানের পরে আর দান নাই |
১২৪ | অন্নপূর্ণা যার ঘরে, সে কাঁদে অন্নের তরে ! |
১২৫ | অনভ্যাসের ফোঁটা কপাল চড়চড় করে। |
১২৬ | অনুরাগ বিনে গৌর আসবে কেনে ? |
১২৭ | অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়ে । |
১২৮ | অপমানের পরান, সম্মানকে ডরান |
১২৯ | অপরের মন্দ নিজের হিত, না করিও কদাচিত। |
১৩০ | অবাক করলি রাধা, অম্বলে দিলি আদা ! |
১৩১ | অবাক করলে নাকের নথে, কাজ কি আমার কানবালাতে |
১৩২ | অবাক কলির অবতার, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার |
১৩৩ | অবিয়ন্তীর ঠুনকোর ব্যথা |
১৩৪ | অবোধারে মারে বোধায়, বোধারে মারে খোদায় ! |
১৩৫ | অবোধের গোবধে আনন্দ । |
১৩৬ | অবোধের সাত খুন মাফ । |
১৩৭ | অবোলা চলে বড়, , অফলা ফলে বড় । |
১৩৮ | অবুঝে বুঝাব কত, বুঝ নাহি মানে । ঢেঁকিরে বুঝাব কত নিত্য ধান ভানে । |
১৩৯ | অবরে সবরে / অপরে সপরে |
১৪০ | অবলার মুখেই বল । |
১৪১ | অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা । |
১৪২ | অভুক্তা বড়ই (বা বড়ুই = কুল), ভুক্তা বেল, ডাক বলে- পরাণ গেল । |
১৪৩ | অভাগা চোর যে বাড়ি যায়, হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায় । |
১৪৪ | অভাগা যে দিকে (যদ্যপি) চায়, সাগর শুকায়ে যায় । |
১৪৫ | অভাগার ঘোড়া মরে, ভাগ্যবানের (মাগ) বউ মরে । |
১৪৬ | অভাগার যমও নেই । |
১৪৭ | অভাগার বাপ মরে ভাদ্র মাসে, ভাগ্যবানের ( ভাগ্যবন্তের) বাপ মরে পৌষমাসে |
১৪৮ | অভাগিনীর দুই পুত, একটা দানা, একটা ভুত । |
১৪৯ | অভাগীর ভাগ্য, জোয়ান দেখে ধরল ভাতার, সেও হাগে রক্ত |
১৫০ | অভাগীর লগনে চাঁদ নাই গগনে । |
১৫১ | অভাবে নাতজামাই ভাতার |
১৫২ | অভাবে স্বভাব নষ্ট, মুখ নষ্ট ব্রণে; ঝরায় ক্ষেত নষ্ট, স্ত্রী নষ্ট মারণে (মারধর করলে) |
১৫৩ | অভিমানী দুয়ো নেটি পেটি সুয়ো |
১৫৪ | অভিমানে বালির দত্ত যান গড়াগড়ি । |
১৫৫ | অভেদাত্মা হরিহর |
১৫৬ | অভ্যাস দোষ না ছাড়ে চোরে, শূন্য ভিটায় মাটি খোঁড়ে । |
১৫৭ | অভ্যাসে সয়, অনভ্যাসে নয় । |
১৫৮ | অভদ্রা বর্ষা কাল, হরিণী চাটে বাঘের গাল ।শোন রে হরিণী তোরে কই, সময় গুণে সবই সই |
১৫৯ | অমানুষ মানুষ নিন্দে, বদনা নিন্দে ঝারি, জোনাকি পোকায় সূর্য নিন্দে, করুয়া নিন্দে কারি (শিল্পকার্য) |
১৬০ | অমাবস্যার চাঁদ |
১৬১ | অমাবস্যার প্রদীপ (পিদ্দিম) টিপ টিপ করে । |
১৬২ | অমৃত কি পদার্থ খেয়ে দেখি না জল । |
১৬৩ | অমৃতে অরুচি |
১৬৪ | অম্বিকানগর গেছে গানে, খাতড়া গেছে দানে, রাইপুর গেছে বানে । |
১৬৫ | অম্বল কম্বল ডম্বল ( ব্যায়াম) , তিন শীতে সম্বল |
১৬৬ | অরগুণ ( অন্তরগুণ) নেই, বরগুণ (বাহিরগুণ) আছে । |
১৬৭ | অরাজ্যে বামুন বেগার |
১৬৮ | অরাধুনীর হাতে পড়ে রুই (কই) মাছ কাঁদে, না জানি রাধুনী মোর কেমন করে রাঁধে । |
১৬৯ | অরুচির অম্বল, শীতের কম্বল, বর্ষার ছাতি, ভট্টাচার্যের পাতিঁ (পুঁথি) |
১৭০ | অরণ্যে রোদন |
১৭১ | অর্থই অনর্থের মূলে । |
১৭২ | অর্ধ সত্য মিথ্যা অপেক্ষা ভয়ঙ্কর। |
১৭৩ | অর্ধচন্দ্র (অর্ধচন্দ্রাকৃতি হস্তাগ্র দ্বারা প্রযুক্ত বলে গলাধাক্কা অর্থে ব্যবহৃত হয়) |
১৭৪ | অর্ধেক আচার, অর্ধেক বিচার |
১৭৫ | অর্ধেক সকল ঘরগোষ্ঠী, আর অর্ধেক মা ষষ্ঠী |
১৭৬ | অল, কচু, মান তিনই সমান । |
১৭৭ | অলক্ষ্মীতে পাওয়া |
১৭৮ | অলক্ষ্মীর দ্বিগুণ ক্ষুধা |
১৭৯ | অলক্ষ্মীর দৃষ্টি |
১৮০ | অলক্ষ্মীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি |
১৮১ | অল্প আগুনে তামাক যেমন, ছোটলোককে খোসামোদ তেমন । |
১৮২ | অল্প আগুনে শীত হরে, বেশি আগুনে পুড়িয়ে মারে । |
১৮৩ | অল্প জলে পুটিমাছ ফর ফর করে ।। অল্প জলে পুটিমাছ লাফায় বেশি । |
১৮৪ | অল্প জলের তিতপুঁটি, তার এত ছটফটি । |
১৮৫ | অল্প জলের মাছ |
১৮৬ | অল্প ধনে মহাজনী করে, খাতক থাকতে মহাজন মরে । |
১৮৭ | অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী । |
১৮৮ | অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়, বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয় । |
১৮৯ | অল্প বয়সে শোথে তরে ( = বেঁচে যায়), বেশি বয়সে শোথে মরে। (স্ফীততা বা ফোলা রোগকে শোথ বলে ।) |
১৯০ | অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর |
১৯১ | অল্পের উপর দিয়ে যাওয়া |
১৯২ | অলভ্যের বাণিজ্য, কচকচিই সার । |
১৯৩ | অলস মস্তিস্ক শয়তানের বাসা |
১৯৪ | অশ্বত্থামা হত ইতি গজ । |
১৯৫ | অশ্বত্থের ছায়াই ছায়া । |
১৯৬ | অশ্বতরী গর্ভ ধরে আপন মরণে |
১৯৭ | অষ্ট দিক পাল ( ইন্দ্র, বহ্নি, যম, নৈঋত, বরুণ, মরুত, কুবের, ঈশান-- আট দিকের আট দেবতা) |
১৯৮ | অসইরণ সইতে নারি, সিকেয় পোঁদ দিয়ে ঝুলে মরি |
১৯৯ | অসারে জলসার |
২০০ | অসারের তর্জন গর্জন সার |
২০১ | অসৎ কার্যের বিপরীত ফল |
২০২ | অসতী নারী, ফুটো কলসি, অসৎ চাকর, ভগ্নপ্রায় বাড়ি পরিত্যাজ্য |
২০৩ | অসতী সতী নিন্দে, ঘৃত নিন্দে মাতওয়ালা, বেশ্যা যে সে পুত্র নিন্দে, চোর নিন্দে কোতওয়ালা । |
২০৪ | অস্থানে তুলসী, অপাত্রে রূপসী । |
২০৫ | অসভ্যের নাজীর |
২০৬ | অসময়ে সকলি সই, শোনরে দুঃখ তোমারে কই |
২০৭ | অহংকার করিলেই ধ্বংস হয় |
২০৮ | অহংকারে গদগদ ভূমিতে না পড়ে পদ । |
২০৯ | অহংকারে ছারখার |
২১০ | অহংকারে পথ দেখতে পায় না |
২১১ | অহিংসা পরম ধর্ম |
২১২ | অহি-নকুল সম্পর্ক |
২১৩ | আইগা হুছে না, মুইতা পানি লয়। |
২১৪ | আই-ঘর যাও, ভাই-ঘর যাও, কাটনা কেটে ভাত খাও। |
২১৫ | আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো |
২১৬ | আইবুড়ো নাম ঘোচানো/খণ্ডানো |
২১৭ | আউলে বাঘ জালে পড়ে । |
২১৮ | আউশ ধানের চাষ/ লাগে তিন মাস। |
২১৯ | আওয়াজ করা |
২২০ | আওয়াজ তোলা |
২২১ | আক্কেল দাঁত না গজানো |
২২২ | আক্কেল সেলামি |
২২৩ | আক্কেলে গুড়ুম |
২২৪ | আক্কেলে সকল বন্দী, জালে বন্দী মাছ / স্ত্রীর কাছে পুরুষ বন্দী, ছালে বন্দী গাছ |
২২৫ | আকাটা নায়ের সাজ বেশি |
২২৬ | আকামের মাঝু, কদু কুটনের যম । |
২২৭ | আকারে ইঙ্গিতে |
২২৮ | আকালে কি না খায় |
২২৯ | আকালের ভাত যুগের খোঁটা |
২৩০ | আকাশ ছোঁয়া |
২৩১ | আকাশ থেকে পড়া |
২৩২ | আকাশ পাতাল তফাৎ । |
২৩৩ | আকাশ পাতাল ভাবা |
২৩৪ | আকাশ ভেঙ্গে পড়া |
২৩৫ | আকাশে কোদালীর বাউ। ওগো শ্বশুড় মাঠে যাও।। মাঠে গিয়া বাঁধো আলি। বৃষ্টি হবে আজি কালি।। |
২৩৬ | আকাশে তোলা |
২৩৭ | আকাশে ধুলো ছুড়লে নিজের চোখে পড়ে |
২৩৮ | আকাশে ফাদ পেতে চাঁদ ধরা । |
২৩৯ | আকাশে ফাঁদ পেতে বনের পাখি ধরা |
২৪০ | আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া । |
২৪১ | আকাশ-পাতাল ফারাক |
২৪২ | আকন্দে যদি মধু পাই, তবে কেন পর্বতে যাই ? |
২৪৩ | আকন্দের ডাল মুড়ি দিয়ে বেঁচে থাকা |
২৪৪ | আখ, আদা, পুঁই/ এ তিন চৈতে রুই। |
২৪৫ | আখের গোছানো |
২৪৬ | আখেরে লাভ |
২৪৭ | আগ্ দরশন দুখানি চরণ পাছ দরশন ঝুঁটি/ মুখ দরশন হাস্যবদন বুকে মাজায় খুঁটি । |
২৪৮ | আগ ন্যাংলা (নাঙ্গলে) যে দিকে যায়, পাছ ন্যাংলা সে দিকে ধায় |
২৪৯ | আগ বাড়ানো |
২৫০ | আগু লাথ, পিছু বাত । |
২৫১ | আগাছার বাড় বেশি |
২৫২ | আগে অম্বল পরে ভাজা, সেই হল রাঁধুনির রাজা |
২৫৩ | আগে আপন সামাল কর, শেষে গিয়ে পরকে ধর । |
২৫৪ | আগে গেলে বাঘে খায়, পিছনে গেলে সোনা পায় । |
২৫৫ | আগে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা, পিছনে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা |
২৫৬ | আগে গেলেও ভেড়ার ভেড়ে, পিছনে গেলেও ভেড়ার ভেড়ে |
২৫৭ | আগে জামাই কাঁঠাল খান না, শেষে জামাই ভোঁতাও পান না |
২৫৮ | আগে তিতা, শেষে মিঠা |
২৫৯ | আগে দুঃখ, পিছে সুখ |
২৬০ | আগে দাও কড়ি, পিছে নাও বড়ি । |
২৬১ | আগে দেখ, পরে লও, শেষে দাও কড়ি । |
২৬২ | আগে দর্শনধারী, শেষে গুণবিচারী । |
২৬৩ | আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে, পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে । |
২৬৪ | আগে পা পরে গা, মাথায় দিয়ে নাইতে যা |
২৬৫ | আগে বাঁধবে আইল/ তবে রুবে শাইল।/খরা ভুয়ে ঢালবি জল/ সারাবছর পাবি ফল।/ ডাঙ্গা নিড়ান বান্ধন আলি/ তাতে দিও নানা শালি। |
২৬৬ | আগে ভাল ছিল জেলে জালদড়া বুনে, কি কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে । |
২৬৭ | আগে হাঁটে, পাঁঠা কাটে, প্রদীপ উস্কোয়, দই বাঁটে, ভান্ডারী, কান্ডারী, রাঁধুনি বামুন যশ পায় না এই সাত জন । |
২৬৮ | আগে হলেম আমি, পিছে হল মা, হাসতে হাসতে দাদা হল, বাবা হল না । |
২৬৯ | আগের চেয়ে পিছে ভাল যদি ডাকে মায়ে |
২৭০ | আগুন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না |
২৭১ | আগুন চাপা থাকে না । |
২৭২ | আগুন না থাকলে ধোঁয়া হয় না |
২৭৩ | আগুন নিয়ে খেলা |
২৭৪ | আগুন পোহাতে গেলে, ধোঁয়া সইতে হয় । |
২৭৫ | আগুন লাগানো |
২৭৬ | আগুন হওয়া |
২৭৭ | আগুনে ঘি দেওয়া |
২৭৮ | আগুনের কাছে ঘি রাখা |
২৭৯ | আগলে রাখা |
২৮০ | আঙ্গুর ফল টক |
২৮১ | আঙ্গুল ঘুরিয়ে পাঁচিল দেওয়া |
২৮২ | আঙ্গুল চালানো |
২৮৩ | আঙুল ফুলে কলাগাছ |
২৮৪ | আঁচ আছে, আগুন নাই |
২৮৫ | আঁচ পাওয়া |
২৮৬ | আচারে বাড়া, বিচারে এড়া |
২৮৭ | আঁচলের নিচে থাকা |
২৮৮ | আজ আমীর, কাল ফকির |
২৮৯ | আজ কাল করা/ আজ নয় কাল |
২৯০ | আজ বাদে কাল |
২৯১ | আজ মরলে কাল দু'দিন হবে |
২৯২ | আজকে খায় না রাগে, কালকে সবার আগে |
২৯৩ | আজার যুদ্ধে আটুনি সার |
২৯৪ | আট ঘাট বেঁধে চলা |
২৯৫ | আঁটকুড়ের পুত |
২৯৬ | আটখানা করা |
২৯৭ | আটখানা হওয়া |
২৯৮ | আটাআটি হলেই লাঠালাঠি |
২৯৯ | আঁটি চোষা |
৩০০ | আটে-পিঠে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড় । |
৩০১ | আঁটুনি কসুনি সার |
৩০২ | আঠার আনা |
৩০৩ | আঠারো মাসে বছর |
৩০৪ | আঁত পাওয়া ভার |
৩০৫ | আতি চোর, পাতি চোর, হতে হতে সিঁধেল চোর । |
৩০৬ | আঁতে খালি দাঁতে নুন, পেটের ভরে তিন কোণ, দু স্নধ্যেবাহ্যে যায়, তার কড়ি কি বৈদ্যে পায়? |
৩০৭ | আঁতে ঘা দেওয়া |
৩০৮ | আত্ম রেখে ধর্ম, তবে পিতৃকর্ম । |
৩০৯ | আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়া |
৩১০ | আত্মারাম শুকিয়ে যাওয়া |
৩১১ | আঁতুড়েই বিনাশ করা |
৩১২ | আদা জল খেয়ে লাগা |
৩১৩ | আদা শুকালেও ঝাল যায় না |
৩১৪ | আদা, ওষুধের আধা । |
৩১৫ | আদার ক্ষেতে কুঙ্কুম |
৩১৬ | আদার ব্যপারী, জাহাজের খোঁজ রেখে কি হবে ? |
৩১৭ | আদাড় গাঁয়ে শিয়াল রাজা |
৩১৮ | আদায় কাঁচকলায় সম্বন্ধ । |
৩১৯ | আদি কহিলে মানুষ রুষ্ট । |
৩২০ | আদেখলের ঘটি হল, জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল । |
৩২১ | আদ্যিকান্ডের কথা বললে পাবে ব্যথা |
৩২২ | আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো । |
৩২৩ | আদর বিবির চাদর গায়, ভাত পায় না ভাতার চায় |
৩২৪ | আদুরে গোপাল |
৩২৫ | আদরে ভোজন, কি করে ব্যঞ্জন । |
৩২৬ | আধা কাঁচকলার সম্বন্ধ |
৩২৭ | আঁধার ঘরের মানিক |
৩২৮ | আন কাপাস, নে তুলো । |
৩২৯ | আন মাগীর আন চিন্তে, দুয়ো মাগীর পতি চিন্তে |
৩৩০ | আন শুনতে কান শোনা |
৩৩১ | আন সতীনে নাড়ে চাড়ে, বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে । |
৩৩২ | আনারস বলে ভাই কাঁঠাল, তুমি বড় খসখসে ! |
৩৩৩ | আন্দাজে ঘোড়া টেপা |
৩৩৪ | আপটির মা কাপটি |
৩৩৫ | আপন কোটে পাই, চিড়ে কুটে খাই |
৩৩৬ | আপন কোলে ঝোল সবাই টানে । |
৩৩৭ | আপন গাঁয়ে কুকুর রাজা |
৩৩৮ | আপন ঘরে সবাই রাজা |
৩৩৯ | আপন চেয়ে পর ভাল, পর চেয়ে জঙ্গল ভাল । |
৩৪০ | আপন ছাগল বেঁধে রাখি, পরের ছাগল হাততালি দি |
৩৪১ | আপন ছিদ্র জানে না, পরের ছিদ্র খোঁজে । |
৩৪২ | আপন পাঁজি পরকে দিয়ে দৈবজ্ঞ বেড়ায় মাথায় হাত দিয়ে |
৩৪৩ | আপন পাঠা লেজে কাটি । |
৩৪৪ | আপন বাপও সৎ বাপ হয় যদি মাও হয় সৎ মা |
৩৪৫ | আপন বেলায় চাপন চোপন, পরের বেলায় ঝুরঝুরে মাপন |
৩৪৬ | আপন বোন ভাত পায়না, শালীর তরে মণ্ডা । |
৩৪৭ | আপন বুদ্ধি ছিল ভাল, পরের বুদ্ধিতে পাগল হল । |
৩৪৮ | আপন বুদ্ধিতে তর, পর বুদ্ধিতে মর । |
৩৪৯ | আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই । |
৩৫০ | আপন বুদ্ধিতে ভাত, পর বুদ্ধিতে হা-ভাত । |
৩৫১ | আপন ভাল পাগলেও বোঝে |
৩৫২ | আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত । |
৩৫৩ | আপন হতে পর ভাল, দেশ হতে বিদেশ ভাল |
৩৫৪ | আপনা মাংসে হরিণা বৈরি । |
৩৫৫ | আপনার আপনি, ডোর আর কোপনি |
৩৫৬ | আপনার ঘোল কেউ টক বলে না । |
৩৫৭ | আপনার ঘর আঁধারে আলো, পড়ে মরি সেও ভালো |
৩৫৮ | আপনার ছাগল লেজের দিক থেকে কাটা |
৩৫৯ | আপনার ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি/ পরের ছেলেটা খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটা । |
৩৬০ | আপনার জন্য কিছু নয়, জগত কেবল মায়াময় |
৩৬১ | আপনার ঢাকা থাক, পরের বিকিয়ে যাক |
৩৬২ | আপনার ধন পরকে দিয়ে দেবকী (কৃষ্ণের মাতা) মরে মাথায় হাত দিয়ে । |
৩৬৩ | আপনার নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ । |
৩৬৪ | আপনার বিড়াল পথ্যি পায় না । |
৩৬৫ | আপনার বেলায় ছ'কড়ায় গণ্ডা, পরের বেলায় তিন গণ্ডা ।(আপনার বেলায় পাঁচকড়ায় গণ্ডা) |
৩৬৬ | আপনার মান আপন হাতে |
৩৬৭ | আপনার মান আপনি রাখ, কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক । |
৩৬৮ | আপনার মত জগত দেখা |
৩৬৯ | আপনার হাতে পড়ল হাঁড়ি, ভাত রেখে আমানি বাড়ি |
৩৭০ | আপনারটা ষোল আনা পরেরটা কিছু না । |
৩৭১ | আপনারটা সবাই বড় দেখে । |
৩৭২ | আপনি খেতে ভাত পায় না শঙ্করীকে ডাকে । |
৩৭৩ | আপনি গেলে ঘোল পায় না, চাকরকে পাঠায় দুধের তরে । |
৩৭৪ | আপনি যেমন যেমন, জগত দেখি তেমন |
৩৭৫ | আপনি ঠাকুর ভাত পায় না, শঙ্করাকে ডাকে |
৩৭৬ | আপনি নাচে আপনি গায় । |
৩৭৭ | আপনি পায় না, পরকে বিলায় । |
৩৭৮ | আপনি বাঁচলে বাপের নাম । |
৩৭৯ | আপনি বড় ভাল, তাই লোককে বলে কালো । |
৩৮০ | আপনি রইলেন ডর পানিতে, পোলারে পাঠালেন চর । |
৩৮১ | আবাগের বেটা ভুত |
৩৮২ | আবর তাঁতি গোবর খায়, স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায় |
৩৮৩ | আম খেয়ে খায় পানি,/ পেঁদি বলে আমি ন জানি। |
৩৮৪ | আম না থাকলে আমড়া । |
৩৮৫ | আম না পেয়ে আঁটি চোষা |
৩৮৬ | আম না হতেই আমসত্ত্ব ! |
৩৮৭ | আম নিম জামের ডালে দাঁত মাজো কৌতুহলে। |
৩৮৮ | আম লাগাই জাম লাগাই কাঁঠাল সারি সারি- বারো মাসের বারো ফল নাচে জড়াজড়ি। |
৩৮৯ | আম শুকালে আমসি, বয়স গেলে কাঁদতে বসি । |
৩৯০ | আম, আমড়া, কুজরা ধান / এই তিন নিয়ে বর্ধমান |
৩৯১ | আমার আমার যত কর, চিনির বলদ হয়ে মর । |
৩৯২ | আমার কথা শোন, ঘরদোর ভেঙ্গে ফেলে নটে শাক বোন । |
৩৯৩ | আমার নাম নিতাই, এক খাই এক থিতাই । |
৩৯৪ | আমি কই কি, আমার সারেন্দা বাজায় কি ! |
৩৯৫ | আমি কই নেড়ি ভেড়ি, আমার পাঁচখানা কাপড় ধোপার বাড়ি । |
৩৯৬ | আমি কি আর করি, আমি তো উপলক্ষ মাত্র । |
৩৯৭ | আমি কি নাচতে জানি নে, মাজায় ব্যাথা তাই পারিনে । |
৩৯৮ | আমি করি ভাই ভাই, দাদার কিন্তু মনে নাই । |
৩৯৯ | আমি ছাড়তে চাইলে কি হবে, কম্বল তো আমারে ছাড়ে না । |
৪০০ | আমিও ফকির হলাম, দেশেও আকাল এল । |
৪০১ | আমিও রারি (বিধবা) হলাম, রং-বিরঙ্গের শাড়িও বের হল । |
৪০২ | আমে দুধে এক হয়, আদাড়ের আঁটি আদাড়ে যায় |
৪০৩ | আমে ধান/ তেঁতুলে বান। |
৪০৪ | আমে-দুধে মিশে যায়, আঁটি গড়াগড়ি খায় ।। আমে-দুধে মিশে যায়, আঁটির কলা আদাড়ে যায় |
৪০৫ | আমের বদলে আমড়া |
৪০৬ | আমড়া কাঠের ঢেঁকি |
৪০৭ | আমড়াগাছি করা |
৪০৮ | আমড়াগাছে আম হয় না |
৪০৯ | আমড়াতলায় আম পেলে, আম তলায় কে যায় ? |
৪১০ | আর গাব খাব না, গাবতলা দিয়ে যাব না । গাব খাব না ত খাব কই, গাবের মত আছে কি ।। |
৪১১ | আর রাজ্যে বামুন নেই, কাশী ঠাকুর চিড়ে খাও । |
৪১২ | আরগুন নেই, ছারগুন আছে । |
৪১৩ | আরের দাঁত, আর ছিরে বুড়োর মাড়ি । |
৪১৪ | আরের মন আর দিকে, চোরের মন বোঁচকার দিকে |
৪১৫ | আরশোলাও পাখি, মুন্সেফও হাকিম ! |
৪১৬ | আল্ বোড্ডে |
৪১৭ | আল-আঁধারি |
৪১৮ | আলালের ঘরের দুলাল |
৪১৯ | আলেয়ার আলো |
৪২০ | আলো শুসে নেওয়া |
৪২১ | আলো হাওয়া বেঁধো না /রোগে ভোগে মরো না। |
৪২২ | আলোকপাত করা |
৪২৩ | আলোচাল দেখলে ভেড়ার মুখ চুলকায় |
৪২৪ | আলোর পর আঁধার |
৪২৫ | আলোয় আলোয় |
৪২৬ | আল্লায় দিয়া ধন দেখে মন,/ কাইড়া নিতে কতক্ষণ। |
৪২৭ | আলস্য হেন ধন থাকতে দুঃখের অভাব কি? |
৪২৮ | আঁশ মেটানো |
৪২৯ | আশু সমাধান |
৪৩০ | আশা আর ফুঁ আছে, দুধ আর বাটি নেই । |
৪৩১ | আশা আর বাসা ছোট করে মরে চাষা । |
৪৩২ | আশা করেছেন কাও, পাকলে খাবেন ডেও । |
৪৩৩ | আশা বৈতরণী নদী । |
৪৩৪ | আশাই পরম দুঃখ, নিরাশাই পরম সুখ । |
৪৩৫ | আশার অর্ধেক ফল |
৪৩৬ | আশার চেয়ে নিরাশা ভাল, হয়ে গেল তো হয়ে গেল । |
৪৩৭ | আশার শেষ নেই |
৪৩৮ | আশায় আমার পড়ল ছাই, এখন বল কোথায় যাই ? |
৪৩৯ | আশায় খেলিছে পাশা । |
৪৪০ | আশায় জল ঢেলে দেওয়া |
৪৪১ | আশায় বুক বাঁধা |
৪৪২ | আশায় বাঁচে চাষা, |
৪৪৩ | আশায় মরে চাষা |
৪৪৪ | আশ্বিনমাসে কুঠে পাঁঠাতেও কড়ি । |
৪৪৫ | আষাঢ় মাসে বান্ধে আইল/ তবে খায় বহু শাইল। |
৪৪৬ | আষাঢ়ে পনের শ্রাবণে পুরো/ ধান লাগাও যত পারো/ পটল বুনলে ফাগুনে/ ফলন বাড়ে দ্বিগুণে/ ভাদ্রের চারি, আশ্বিনের চারি/ কলাই করি যত পারি। |
৪৪৭ | আষাঢ়ের পানি। তলে দিয়া গেলে সার। উপরে দিয়া গেলে ক্ষার।। |
৪৪৮ | আষাঢ়ে গল্প |
৪৪৯ | আষাঢ়ে না হলে সূত, হা সূত যো সূত; ষোলতে না পুত, হা পুত যো পুত । |
৪৫০ | আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়, গুয়া বনে পান গড়াগড়ি যায় । |
৪৫১ | আসেন লক্ষ্মী , যান বালাই |
৪৫২ | আস্তাকুড়ের পাতা স্বর্গে যায় না |
৪৫৩ | আস্তানা গাড়া |
৪৫৪ | আস্তানা গুটানো |
৪৫৫ | আস্তিন গুটানো |
৪৫৬ | আসতেও একা যেতেও একা, কার সাথে বা কার দেখা । |
৪৫৭ | আসন্নকালে বিপরীত বুদ্ধি |
৪৫৮ | আসমান জমিন ফারাক |
৪৫৯ | আসর গরম করা |
৪৬০ | আসর ঘরে মশাল নেই, ঢেঁকিশালে চাঁদোয়া । |
৪৬১ | আসর জমানো |
৪৬২ | আসরে নামা |
৪৬৩ | আসল ঘরে মশাল নাই, ঢেঁকির ঘরে বাতি |
৪৬৪ | আসল চেয়ে সুদ মিস্টি |
৪৬৫ | আসলের খোঁজ নেই, সুদের খবর । |
৪৬৬ | আহা, কি ভালবাসা, যেন মুসলমানের মুরগী পোষা ( মিথ্যে ভালবাসা, মুসলমানরা মুরগী পোষে কেবল মাত্র খাওয়ার জন্য) |
৪৬৭ | আহার নিদ্রা ভয়, যত বাড়াও তত হয় । |
৪৬৮ | আহ্লাদে আটখানা, ল্যাজা মুড়ো নিয়ে দশখানা । |
৪৬৯ | আহ্লাদে পুতুল |
৪৭০ | আহ্লাদের বউ তুমি, কেঁদোনা কেঁদোনা/ চাল চিবিয়ে খাব আমি রেঁধোনা রেঁধোনা |
৪৭১ | আড় নয়নে বাঁকা ভুরু, সেজন হয় নাটের গুরু |
৪৭২ | আড়াই আঙ্গুল দড়ি, সৃষ্টি জুড়ে বেড়ি । |
৪৭৩ | আড়াই কড়ার কাসুন্দি হাজার কাকের গোল । |
৪৭৪ | আড়াই প্যাঁচের বিদ্যা |
৪৭৫ | আড়াই হাতে লাগা |
৪৭৬ | আড়াল করা |
৪৭৭ | আড়ি পাতা |
৪৭৮ | আয় বুঝে ব্যয় করা |
৪৭৯ | আয়ত্বে আনা |
৪৮০ | ইঙ্গিতে বুঝলে মন, কাজ হতে কতক্ষণ ! |
৪৮১ | ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয় । |
৪৮২ | ইচ্ছা থাকে যার, উপায় হয় তার |
৪৮৩ | ইচ্ছার ভার বোঝা বোধ হয় না |
৪৮৪ | ইঁচড়ে পাকা |
৪৮৫ | ইজ্জত যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না ম'লে । |
৪৮৬ | ইট খোলা টালি তিন নিয়ে হাঁসখালি |
৪৮৭ | ইট পায় না, ফুট কাটে । |
৪৮৮ | ইটে নাই, ভিটে নাই, বাইরে মর্দানি |
৪৮৯ | ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় । |
৪৯০ | ইঁদুর কপাল |
৪৯১ | ইঁদুর গর্ত খুড়ে মরে, সাপ এসে দখল করে । |
৪৯২ | ইঁদুর দৌড় |
৪৯৩ | ইন্দ্রের শচী (যখন যাহার, তখন তাহার ) |
৪৯৪ | ঈদের চাঁদ |
৪৯৫ | ঈমানে আমান, বেঈমানে দুনিয়া তামান |
৪৯৬ | ঈশান কোনের মেঘে ঝড় ওঠে বেগে । |
৪৯৭ | ঈশ্বর ঈশ্বর করে যেই, তার ঘরে ভাত নেই । |
৪৯৮ | ঈশ্বর করে কাম, মানুষের বদনাম । |
৪৯৯ | ঈশ্বর যা করেন সবই মঙ্গলের জন্য । |
৫০০ | ঈশ্বর যদি করেন কর্তা যদি মরেন, তবে ঘরে বসে কীর্তন শুনবো |
৫০১ | উই ইঁদুর কূজন, ভাল ভাঙ্গে তিনজন; সূচ সোহাগা সুজন, ভাল করে তিনজন । |
৫০২ | উঁচ কপালি চিঁড়ল দাঁতী লম্বা মাথার কেশ এমন নারী বিয়ে করলে ঘুরবে নানান দেশ |
৫০৩ | উঁচু হবে তো নিচু হও । |
৫০৪ | উচা মোটা পদে মোটা নাকে বাঁশী বায়, সেই কন্যা বিয়া কৈলে স্বামী আগে খায়। |
৫০৫ | উঁচান বাড়ি বড় ভয়, পড়লে বাড়ি সয়ে যায় । |
৫০৬ | উচিত কথা শুনতে তিতা । |
৫০৭ | উচিত কথার ভাত নাই । |
৫০৮ | উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট, উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট । |
৫০৯ | উচিত কথায় বন্ধু বেজার, গরম ভাতে বিলাই বেজার । |
৫১০ | উচোট খেয়ে প্রনাম |
৫১১ | উচ্ছের কচি, পটোলের বীচি, ছাগের (শাকের) ছা, মাছের মা এইগুলো বেছে খা |
৫১২ | উজানে কৈ |
৫১৩ | উজাড় বনে শিয়াল রাজা । |
৫১৪ | উটকো ঝামেলা পোহানো |
৫১৫ | উঠান ভরা লাউ শসা/ ঘরে তার লক্ষীর দশা |
৫১৬ | উঠি উঠি করা |
৫১৭ | উঠে যাওয়া |
৫১৮ | উঠে পড়ে লাগা |
৫১৯ | উঠন্তি মূল পত্তনেই চেনা যায় ।। উঠন্ত বৃক্ষ পত্রেই চেনা যায় । |
৫২০ | উঠল বাই তো কটক যাই । |
৫২১ | উত্তর দুয়ারি ঘরের রাজা/ দক্ষিণ দুয়ারি তাহার প্রজা।/ পূর্ব দুয়ারির খাজনা নাই/ পশ্চিম দুয়ারির মুখে ছাই।। |
৫২২ | উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায় |
৫২৩ | উদ খেতে খুদ নেই, নেউলে বাজায় শিঙে । |
৫২৪ | উদুখলে খুদ নেই, চাটগায় বরাত । |
৫২৫ | উদে মাছ ধরে, খটাসে তিন ভাগ করে । |
৫২৬ | উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে । |
৫২৭ | উদর চিরলে ক বেরোয় না |
৫২৮ | উদর সর্বস্ব |
৫২৯ | উপকারী গাছের ছাল থাকে না । |
৫৩০ | উপচে পড়া |
৫৩১ | উপোষে (উপবাসে) যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ । |
৫৩২ | উপোসের কেউ নয়, পারণের (পারণার) গোঁসাই |
৫৩৩ | উপদেশ দেওয়া অপেক্ষা দৃষ্টান্ত ভালো |
৫৩৪ | উপর থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ সাত, যার যেখানে ব্যাথা তার সেখানে হাত |
৫৩৫ | উপরি পাওনা |
৫৩৬ | উপরে বাবুয়ানা, ভিতরে খড়ের বেনা । |
৫৩৭ | উপরের দিকে থু থু ফেললে নিজের গায়েই পড়ে । |
৫৩৮ | উপরোধে ঢেঁকি গেলা । |
৫৩৯ | উপস্থিত অন্ন ত্যাগ করতে নাই |
৫৪০ | উভয় সংকট |
৫৪১ | উলু বনে কেত্তন |
৫৪২ | উলোর মেয়ের কুলুজী, অগ্রদ্বীপের খোঁপা, শান্তিপুরের হাত নাড়া, গুপ্তিপাড়ার চোপা |
৫৪৩ | উলট পুরাণ |
৫৪৪ | উলটা বুঝলি রাম ! |
৫৪৫ | উল্টে চোরা মশান গায় |
৫৪৬ | উলুবনে মুক্তো ছড়ানো । |
৫৪৭ | উলুবনে সাঁতার দেওয়া |
৫৪৮ | উসকো মাটিতে বিড়াল হাগে |
৫৪৯ | উড়িয়ে দেওয়া |
৫৫০ | উড়ে এসে জুড়ে বসা । |
৫৫১ | উড়ে যাওয়া |
৫৫২ | উড়ে, নেড়ে, গলায় দড়ে, কথা কইবে এ তিন ছেড়ে |
৫৫৩ | উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ |
৫৫৪ | উড়তে না পেরে পোষ মানা । |
৫৫৫ | উড়তে পারে না ফুরফুর করে । |
৫৫৬ | ঊন বর্ষায় দুনো শীত |
৫৫৭ | ঊনিশ- বিশ |
৫৫৮ | ঊনপাঁজুরে বরাখুরে |
৫৫৯ | ঊনপঞ্চাশ বায়ু |
৫৬০ | ঊনভাতে দুনো বল, অধিক ভাতে রসাতল । |
৫৬১ | ঊরুত বেয়ে রক্ত পড়ে, চোখ গেল রে বাবা ! |
৫৬২ | ঋণ করে ঘি খাও । |
৫৬৩ | এ কি বিধির লীলাখেলা, কাকের গলায় তুলসী মালা । |
৫৬৪ | এ কি মোর জ্বালা, মেয়ে চামকাট ভালা, কানে দু'টা ঘুরঘুরে গ্মায় মতির মালা |
৫৬৫ | এ তো মুলোবাড়ী নয়, এ যে বেগুনবাড়ী |
৫৬৬ | এ পাড়ায় যদি ওষুধ খাওয়ায়, ও পাড়ায় মরে গণ্ডা দশ |
৫৬৭ | এই ডুমুরের গুমর (গরব) কর, পাকলে ডুমুর পড়ে মর । |
৫৬৮ | এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে । এই দিন নিয়ে যাবে সেই দিনের কাছে । |
৫৬৯ | এই বিড়াল বনে গেলে বন-বিড়াল হয় |
৫৭০ | এই মানুষ বনে গেলে বন-মানুষ হয় |
৫৭১ | এক আঙুলে তুড়ি লাগে না । |
৫৭২ | এক আঁচড়ে চেনা যায় । |
৫৭৩ | এক ওয়াকিফহাল, সাত নবিসিন্দা |
৫৭৪ | এক কাটে ভারে, এক কাটে ধারে |
৫৭৫ | এক কাঠি বাজে না । |
৫৭৬ | এক কাঁদির কলা |
৫৭৭ | এক কান কাটা যায় লুকিয়ে চুরিয়ে, আর দুইকান কাটা যায় সবার সামনে দিয়ে ।। এক কান কাটা শহরের বার দে যায়, দু'কান কাটা শহরের ভিতর দে যায় |
৫৭৮ | এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বার করা |
৫৭৯ | এক কেড়ে (কলসি) দুধে এক ছিটে ( ফোঁটা) চোনা । |
৫৮০ | এক কলসি জল তুলে কাঁকালে দিলে হাত, এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত |
৫৮১ | এক ক্ষুরে মাথা কামানো (মুড়ানো) |
৫৮২ | এক কড়ার মুরোদ নেই, ভাত মারার গোঁসাই |
৫৮৩ | এক গাছের ছাল অন্য গাছে জোড়া লাগে না । |
৫৮৪ | এক গালে চুন, এক গালে কালি |
৫৮৫ | এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা |
৫৮৬ | এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর |
৫৮৭ | এক গোয়ালে বিয়াইছে গাই, সেই রিস্তায় খালাতো ভাই |
৫৮৮ | এক গোয়ালের গরু |
৫৮৯ | এক গুরলে ( বা গুলতিতে) দুই পাখি মারা |
৫৯০ | এক চাঁদে জগত আলো |
৫৯১ | এক চির পান দু চির হল, সোনার সিংহাসনে ভাগ বসিল |
৫৯২ | এক চোখে কান্না, আর এক চোখে হাসি |
৫৯৩ | এক চোখে তেল, আর এক চোখে নুন বেচা। |
৫৯৪ | এক ছাদের তলায় আনা |
৫৯৫ | এক ছেলে তার ফুলের শয্যে, পাঁচ ছেলে তার কাঁটার শয্যে |
৫৯৬ | এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা (জনসংখ্যা বাড়ুক সেই ইঙ্গিত) |
৫৯৭ | এক জায়গায় খাল কেটে আর এক জায়গার খাল ভরানো । |
৫৯৮ | এক জায়গায় থাকলে হাড়িতে কড়াইতে ঠকাঠুকি হয় |
৫৯৯ | এক জন গেলে, হাজার জন আসবে । |
৬০০ | এক ঝিকরে মাছ বেঁধে না সে-ই বা কেমন বড়শি, এক ডাকেতে সাড়া দেয় না সেই বা কেমন পড়শি |
৬০১ | এক টাকা হোক কামাই, গাবী যেন না হয়। |
৬০২ | এক টাকার শোক, আর এক ব্যাটার শোক। |
৬০৩ | এক যাত্রায় পৃথক ফল |
৬০৪ | এক ডাকে চেনা |
৬০৫ | এক দোর বন্ধ তো হাজার দোর খোলা |
৬০৬ | এক ধাপ এগোনো |
৬০৭ | এক ধারে কাটে আর এক ভারে কাটে। |
৬০৮ | এক পা জলে, আর এক পা স্থলে |
৬০৯ | এক পাগলে রক্ষা নেই সাত পাগলের মেলা |
৬১০ | এক পাঁঠা তিনবার কাটা |
৬১১ | এক প্যালে খাই আর এক পরবে খাই। |
৬১২ | এক পুতের আশা, আর নদীর কূলে বাসা |
৬১৩ | এক পুরুষে রোপে তাল,/ অন্য পুরুষে করে পাল।/ তারপর তিন পুরুষে খাবে ফল |
৬১৪ | এক পয়সা জমানো মানে এক পয়সা রোজগার করা |
৬১৫ | এক পয়সা নাই থলিতে, লাফিয়ে বেড়ায় গলিতে |
৬১৬ | এক পয়সা মা বাপ |
৬১৭ | এক বাপের এক ব্যাটা, হয় বোকা, না হয় ঠ্যাঁটা। |
৬১৮ | এক বার হ্যাগলে দু:খি, দুই বার হ্যাগলে সুখি, তিন বার হ্যাগলে রুগী। |
৬১৯ | এক বারের রোগী আর বারের রোজা |
৬২০ | এক ব্যঞ্জন ভাত, তাও আবার নুনে পোড়া |
৬২১ | এক বুদ্ধি ভালা, দুই বুদ্ধি আরো ভালা বেশী বুদ্ধি আলাজ্বালা। |
৬২২ | এক বনে দুই বাঘ |
৬২৩ | এক বরের মাগ হেলাফেলা ( হেলাদোলা), দোজবরের মাগ গলার মালা |
৬২৪ | এক বুড়ির নানা দোষ, নাকের উপরে হল খোস |
৬২৫ | এক ভস্ম আর ছার, দোষগুণ কব কার ? |
৬২৬ | এক মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায়, পাঁচমুখ ছাই দিয়েও ভরা যায় না । |
৬২৭ | এক মুখে দুই কথা |
৬২৮ | এক মাঘে শীত যায় না। |
৬২৯ | এক মানিক সাত রাজার ধন |
৬৩০ | এক মায়ের এক পুত, খায় দায় যমের দুত । |
৬৩১ | এক মন হলে সমুদ্র শুকায় |
৬৩২ | এক মুরগি সাত জায়গায় জবাই । |
৬৩৩ | এক রত্তি দড়ি, সকল ঘর বেড়ি |
৬৩৪ | এক লাউয়ের বীচি, কেউবা করে কচর কচর, কেউ বা আছে কচি । |
৬৩৫ | এক লাফে বেড়ে যাওয়া |
৬৩৬ | এক লায়ে সয় আর এক মায়ে সয়। |
৬৩৭ | এক শিয়াল ডাকলে সব শিয়াল ডেকে ওঠে । |
৬৩৮ | এক সের জিনিসে পাঁচ সের ঠকানো |
৬৩৯ | এক সোহাগীর সাত ভাতার, তাও সোহাগীর মন ব্যাজার। |
৬৪০ | এক সুতোয় গাঁথা |
৬৪১ | এক সুর |
৬৪২ | এক সূর্যে রোদ পোহানো |
৬৪৩ | এক হাটে কিনে আর এক হাটে বেচা । |
৬৪৪ | এক হাত নেওয়া |
৬৪৫ | এক হাতে তালি বাজে না। |
৬৪৬ | এক হেঁসেলে তিন রাঁধুনি, পুড়ে (পড়ে) মরে তার ফ্যান গালুনি । |
৬৪৭ | একই ছবি |
৬৪৮ | একই ঝুড়িতে সব ডিম না রাখা |
৬৪৯ | একই রাস্তায় হাটা |
৬৫০ | এককে আর, দেখবে বেগার |
৬৫১ | একা ঘরের একা বউ খেতে বড় সুখ, মারতে এলে ধরতে নাই তাই বড় দুখ । |
৬৫২ | একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর |
৬৫৩ | একাই একশ |
৬৫৪ | একাদশে বৃহস্পতি |
৬৫৫ | একচোখো |
৬৫৬ | একে তো নাচুনী বুড়ি,/তার উপর ঢোলের বাড়ি |
৬৫৭ | একে তো মধুপর্কের বাটি, তায় আবার কাত । |
৬৫৮ | একে মা মনসা তায় ধুনোর গন্ধ |
৬৫৯ | একে মিন মিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট । |
৬৬০ | একে রাঁড়ের ভাত, তায় মুসুরের ডাল |
৬৬১ | একে রুনু ঝণু, দুইয়ে পাঠ, তিনে গণ্ডগোল, চারে হাট |
৬৬২ | একেন পাপ সতেন কিংবা |
৬৬৩ | একটি ইঁদুর যদি নড়ে, চোরের মন ধড়ফড় করে |
৬৬৪ | একটি ভাত টিপে হাড়ি সুদ্ধ ভাতের খবর নেওয়া |
৬৬৫ | একতাই বল |
৬৬৬ | একতায় উত্থান বিভেদে পতন |
৬৬৭ | একদিন খায় না রাগে, পরের দিন বয় সকলের আগে। |
৬৬৮ | একদিন ঘি-রুটি, একদিন দাঁত চিরকুটি |
৬৬৯ | একবার না পারিলে দেখ শতবার। |
৬৭০ | একবার পথ হারানোর চেয়ে দুইবার অনুসন্ধান করে নেওয়া ভালো |
৬৭১ | একবার রাজাকার আজীবন রাজাকার, একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়। |
৬৭২ | একবরে ভাতারের মাগ, চিংড়িমাছের খোসা, দোজবরে ভাতারের মাগ নিত্যি করেন গোঁসা, তেজবরে ভাতারের মাগ সঙ্গে বসে খায়, ছাড়বরে ভাতারের মাগ কাঁধে চড়ে যায় |
৬৭৩ | একবরে মাগ নাড়ে চাড়ে, দোজবরে মাগ পুড়িয়ে মারে |
৬৭৪ | একূল ওকূল দুকূল যাওয়া |
৬৭৫ | একলা ঘরের গিন্নি হব, চাবি কাঠি ঘুরিয়ে যাব ।। একলা ঘরের গিন্নি হব, চাবি কাঠি ঝুলিয়ে নাইতে যাব । |
৬৭৬ | একুশ কোঁড়া গুণে খান, ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যান |
৬৭৭ | একশো- আশি ডিগ্রী ঘুরে যাওয়া |
৬৭৮ | এখনই রসগোল্লা খেয়েছি, চায়ে আর চিনি দিও না । |
৬৭৯ | এগুলেও নির্বংশের বেটা, পেছুলেও নির্বংশের বেটা |
৬৮০ | এঙ যায় ব্যাঙ যায়, খোলসে বলে আমিও যাই |
৬৮১ | এঙ্গও যায় বেঙ্গও যায় লগে লগে খইয়া মাছও যায় |
৬৮২ | এঁচোড়ে পাকলে শীঘ্রই গোল্লায় যায় |
৬৮৩ | এ্যাত লালী আদেসের লয়। |
৬৮৪ | এঁটে ওঠা |
৬৮৫ | এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে, ছেড়ে দিলে লঙ্কা মারে |
৬৮৬ | এঁটো খায় মিঠার লোভে, যদি এঁটো মিঠা লাগে |
৬৮৭ | এঁটো পাত ( আস্তাকুড়ের পাতা) কখনও স্বর্গে যায় না |
৬৮৮ | এত সূক্ষ্ম যে নাই বললেও হয় |
৬৮৯ | এত সুখ কপালে, ছেঁড়া কাঁথা বগলে |
৬৯০ | এদিক নেই, ওদিক আছে |
৬৯১ | এনে দাও কাছে মারি, বাপের পূণ্যে নড়তে নারি |
৬৯২ | এবারকার রোগী, সেবারকার রোজা |
৬৯৩ | এমনি যায় না মাস, আবার দু'দিন বেশি |
৬৯৪ | এমনি তে ছাই, তার উপর আবার বাতাস |
৬৯৫ | এমনি নাচুনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি |
৬৯৬ | এর মুন্ডু ওর ঘাড়ে |
৬৯৭ | এল শ্রাদ্ধের গুঁতো দক্ষিণা |
৬৯৮ | এড়ে (ছেড়ে) দিয়ে তেড়ে ধরা |
৬৯৯ | এঁড়ে গরু, না টেনে দো । |
৭০০ | ওজন বুঝে চলা |
৭০১ | ওঝার ঘাড়ে ভুতের বোঝা |
৭০২ | ওঝার বেটা বনগরু |
৭০৩ | ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে, নেকড়ায় আগুন দিয়ে |
৭০৪ | ওঠা ধানের পথ্যি হয় না |
৭০৫ | ওষুধার্থে সুরাপান |
৭০৬ | ওষুধে কাজ হয়েছে |
৭০৭ | ওস্তাদের মার শেষ রাতে |
৭০৮ | ক অক্ষর গোমাংস |
৭০৯ | কংস মামার আদর |
৭১০ | কংস রাজার বদ (বধ) ফরমাস |
৭১১ | কই মাছের প্রাণ |
৭১২ | কইতে জানলে ঠকি না, বসতে জানলে উঠি না |
৭১৩ | কইনি জাঁইক মারো, যাতে সোজা হয় সেই ব্যবস্তা করো। |
৭১৪ | কইলে যায় মনের দুঃখ খাইলে যায় পেটের ভুখ। |
৭১৫ | কইলে বুঝেনা যে, এর নাম ঢগা বে আকলি মাত্ মাতে যে, এরে কয় পগা। |
৭১৬ | কুকাটনি খড়ি খাবার যম |
৭১৭ | কুকুর রাজা হলেও জুতো খায় |
৭১৮ | কুকুরকে নাই (লাই) দিলে মাথায় ওঠে |
৭১৯ | কুকুরের ওজর আছে তো চাকুরের ওজর নেই । |
৭২০ | কুকুরের কামড় হাটুর নীচে |
৭২১ | কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না । |
৭২২ | কুকুরের মুগের ( বা ঘি) পত্তি, কুকুর বলে আমার এ কি বিপত্তি |
৭২৩ | কুকুরের লেজে ঘি ঢেলে টানলেও সোজা হয় না । |
৭২৪ | কখনও খেয় না তালে আর ঘোলে, কখনও ভুলো না ঢেমনের বোলে |
৭২৫ | কাঁই ছাড়া আলু নাই, মাই ছাড়া মানুষ নাই। |
৭২৬ | কাউয়ার উপর কামানের গুলি। |
৭২৭ | কাক ও কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন |
৭২৮ | কাক কোকিলের সমান দর |
৭২৯ | কাক খায় কাঁঠাল, বকের মুখে আঠা |
৭৩০ | কাক জ্যোৎস্না |
৭৩১ | কাক নিল কান, কাকের পিছে পিছে যান |
৭৩২ | কাক মনে করে আমি বড় সেয়ানা |
৭৩৩ | কাক মরল ঝড়ে, পেঁচা বলে আমার শাপ লাগল হাড়ে হাড়ে |
৭৩৪ | কাক সবার মাংস খায়, কাকের মাংস কেউ খায় না |
৭৩৫ | কাকের উপর কামানের চেষ্টা |
৭৩৬ | কাকের ছা বকের ছা |
৭৩৭ | কাকের ডিমও সাদা হয়, বিদ্বানের ছেলেও গাধা হয় |
৭৩৮ | কাকের পিছে ফিঙে লাগা |
৭৩৯ | কাকের বাসায় কোকিলের ছা, জাত স্বভাবে কাড়ে রা (রা=রব) |
৭৪০ | কাকের মুখে কৃষ্ণ কথা |
৭৪১ | কাকের মাংস কাকে খায় না, জোঁকের গায়ে জোঁক বসে না |
৭৪২ | কাকের লুকানো |
৭৪৩ | কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং |
৭৪৪ | কাগের বাসা |
৭৪৫ | কাগজ, কলম কালি -- তিন নিয়ে বালি |
৭৪৬ | কাগুজে বাঘ |
৭৪৭ | কাঙ্গালি মেরে কাছারি গরম |
৭৪৮ | কাঙ্গালের মরণ বিটকেল |
৭৪৯ | কাঙ্গলা আপনা সামলা |
৭৫০ | কাঙাল বিদায় |
৭৫১ | কাঙালকে শাকের ভুঁই দেখাতে নেই |
৭৫২ | কাঙালের কথা বাসি হলে মিঠে |
৭৫৩ | কাঙালের ঘোড়া রোগ |
৭৫৪ | কাঙালের চাইতে জঞ্জাল ভাল। |
৭৫৫ | কাঙালের ঠাকুর ব্যাধি |
৭৫৬ | কাঙালের মুড়কিই সন্দেশ |
৭৫৭ | কাঙালের রাংতাই সোনা |
৭৫৮ | কাঁচা গাথুনির দুনো খাটুনি |
৭৫৯ | কাঁচা গুয়ে ঢিল মারা |
৭৬০ | কাঁচা বাঁশ, নদীর ধারে বাস, নারীর মুখের হাঁস- এই তিনে সর্বনাশ। |
৭৬১ | কাঁচা বাঁশে ঘুন ধরে |
৭৬২ | কাঁচা মাটিতে পা দেওয়া |
৭৬৩ | কাঁচা রোপা শুকায়/ ভুঁইয়ে ধান ভুঁইয়ে লুটায়। |
৭৬৪ | কাঁচায় না নোয়ালে বাস পাকলে করে ঠাস ঠাস ( ট্যাঁস ট্যাঁস) |
৭৬৫ | কাচে কাঞ্চনে সমান |
৭৬৬ | কাঁচপোকায় আরশুলা ধরা |
৭৬৭ | কাছা আলগা |
৭৬৮ | কাছা খুলতে দেরি হওয়া |
৭৬৯ | কাছা খুলতে দেরি হয়, ভাগ্য খুলতে দেরি হয় না । |
৭৭০ | কাছা দিতে কোঁচা আঁটে না, কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না |
৭৭১ | কাছা দেয়ার কাপড় নেই, মাথার উপর ঘোমটা চাই |
৭৭২ | কাজ আটকালে বুদ্ধি যোগায় |
৭৭৩ | কাজ চলা |
৭৭৪ | কাজ দেখানো |
৭৭৫ | কাজ নেই কাজ করে, ধানে চালে এক করে |
৭৭৬ | কাজ সেরে বসি, শত্রু মেরে হাসি |
৭৭৭ | কাজ হাসিল করা |
৭৭৮ | কাজও নেই, কামাইও নেই |
৭৭৯ | কাজীর কাছে হিঁদুর পরব |
৭৮০ | কাজীর গাই কিতাবে আছে, গোয়ালে নাই |
৭৮১ | কাজীর বিচার |
৭৮২ | কাজে এড়া ভোজনে দেড়া |
৭৮৩ | কাজে কম ভোজনে যম |
৭৮৪ | কাজে কুঁড়ে, ভোজনে দেড়ে, বচনে মারে তেড়ে ফুঁড়ে |
৭৮৫ | কাজের কাজ |
৭৮৬ | কাজের কাজি |
৭৮৭ | কাজের বেলা পায় না খুঁজে, খাওয়ার বেলায় আগে |
৭৮৮ | কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাজি |
৭৮৯ | কাজের বেলায় ভাগে, খাওয়ার বেলায় আগে |
৭৯০ | কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ |
৭৯১ | কাজের মধ্যে দুই, খাই আর শুই |
৭৯২ | কাজের লোক |
৭৯৩ | কাটা কইয়ের ন্যায় ছটফট করা |
৭৯৪ | কাটা কান চুল দিয়ে ঢাকি |
৭৯৫ | কাঁটা গাছের তলায় থাকা |
৭৯৬ | কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে |
৭৯৭ | কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা |
৭৯৮ | কাঁটা বিছানো |
৭৯৯ | কাঁটা বিনা কমল নাই, কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই |
৮০০ | কাঁটায় কাঁটায় |
৮০১ | কাটিলে রক্ত নাই, কুটিলে মাংস নাই |
৮০২ | কাটতে কাটতে নির্মূল |
৮০৩ | কায়দার বাগেরহাট/ বেকায়দার ফকিরহাট/ চিত কারেঙ্গা চিতলমারী/ ভুট করেঙ্গা ভুটেমারী |
৮০৪ | কাঠ খায়, আঙ্গারা হাগে |
৮০৫ | কাঠখড় পোড়ানো |
৮০৬ | কাঁঠাল খেয়ে লাগল আঠা, তেল দিয়ে ঘুচাও লেঠা |
৮০৭ | কাঁঠালের আমসত্ত্ব |
৮০৮ | কাঠি দেওয়া |
৮০৯ | কাঠের বিড়াল হোক তাতে কি বা আসে যায়, ইঁদুর ধরে কিনা সেটাই বিষয় |
৮১০ | কাঠের ভিতর পিঁপড়ে বলে, চিনি নইলে বাবু নি, চিন্তামণি চিন্তা করে যোগান তারে অমনি |
৮১১ | কাঠবিড়ালীর সেতু বন্ধন |
৮১২ | কাঠবিড়ালের সাগর বাঁধা |
৮১৩ | কাদা ঘেঁটো না |
৮১৪ | কাদা চিংড়ি তেল খাবার যম |
৮১৫ | কাদা ছোঁড়া |
৮১৬ | কাদায় গুণ ফেলে বাস করা |
৮১৭ | কাঁধ দেওয়া |
৮১৮ | কাঁধে কাঁধে মেলানো |
৮১৯ | কাঁধে কুড়ুল, বনময় খোঁজা |
৮২০ | কাঁধে ঝোলা নেওয়া |
৮২১ | কাঁধে নেওয়া |
৮২২ | কান কাটা যাওয়া |
৮২৩ | কান কাঁদেন সোনারে, সোনা কাঁদেন কান রে |
৮২৪ | কান কেটে কুত্তার পায়ে দেওয়া |
৮২৫ | কান খাড়া করা |
৮২৬ | কান গরম করে দেওয়া |
৮২৭ | কান ঘেঁষে যাওয়া |
৮২৮ | কান চায় সোনা, সোনা চায় কান |
৮২৯ | কান চায় সোনারে, সোনা চায় কানেরে |
৮৩০ | কানু ছাড়া গীত নাই |
৮৩১ | কান টানলে মাথা আসে |
৮৩২ | কান দেওয়া |
৮৩৩ | কান পাতা |
৮৩৪ | কান পাতলা |
৮৩৫ | কান ফাটান |
৮৩৬ | কান ভাঙানো |
৮৩৭ | কান ভারি করা |
৮৩৮ | কানা (বা অন্ধ ) ক'বার নড়ি হারায় |
৮৩৯ | কানা কানি |
৮৪০ | কানা কুঁজো খোঁড়া তিন অসতের গোঁড়া |
৮৪১ | কানা খোঁড়ার একগুণ বাড়া |
৮৪২ | কানা গরু বামনকে দান |
৮৪৩ | কানা গরুর ভিন্ন পথ |
৮৪৪ | কানা গরুর ভিন্ন মাঠ (বা গোঠ) |
৮৪৫ | কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন |
৮৪৬ | কানা পুতে পোষে, রাজার বউ শোষে |
৮৪৭ | কানা পুতে পোষে, রাজার বেটি শোষে |
৮৪৮ | কানা পুতের নানা রোগ |
৮৪৯ | কানা মেঘের বৃষ্টি, সর্বত্র নয় দৃষ্টি |
৮৫০ | কানা, খোঁড়া, ভেঙ্গুর শয়তানের লেঙ্গুর |
৮৫১ | কানা, খোঁড়ার একগুণ বাড়া |
৮৫২ | কানাকানি |
৮৫৩ | কানাকানি পড়ে যাওয়া |
৮৫৪ | কানার আবার রাতই কি আর দিনই কি? |
৮৫৫ | কানায়ে ভাগিনা |
৮৫৬ | কানে আঙুল দেওয়া |
৮৫৭ | কানে খাটো |
৮৫৮ | কানে তোলা |
৮৫৯ | কানে তুলো গোঁজা |
৮৬০ | কানে দিয়েছি তুলো, পিঠে বেঁধেছি কুলো |
৮৬১ | কানে ধরে বলা |
৮৬২ | কানের জল, জল দিয়েই বেরোয় |
৮৬৩ | কান্দে কান্দে না মিশলে কুটুম্বিতালী হয় না। |
৮৬৪ | কাপড় দিয়ে আগুন ঢাকা |
৮৬৫ | কাপড় হলে পচা, আঙ্গুল হয় খোঁচা |
৮৬৬ | কাপুড়ে বাবু |
৮৬৭ | কাপড়ের তলে সবাই ল্যাঙটা। |
৮৬৮ | কাপড়ের দাগ যায় ধুলে, মনের দাগ যায় ম'লে |
৮৬৯ | কাম করা লয়, চিত্তি পুরান; ঢিকি দিয়ে কান চুলকানো |
৮৭০ | কাম ত পারে না, বন্দুক ঘাড় ত ল্যায়। |
৮৭১ | কাম থুয়্যা মারে মাছ, অলক্ষী লাগে পাছ। |
৮৭২ | কাম নাই পাঁটার মকমকিই সার। |
৮৭৩ | কামাতে পারে না নাপিত, ধামা ভরা ক্ষুর । কামাতে কামাতে যায় রঘুনাথপুর । |
৮৭৪ | কামান দাগা |
৮৭৫ | কামানো মাথায় ক্ষুর বোলানো |
৮৭৬ | কামার বুড়ুলে লোহা শক্ত হয় |
৮৭৭ | কামারকে ইস্পাত ফাঁকি |
৮৭৮ | কামারের কাছে ছুঁচ বেচতে আসা |
৮৭৯ | কামারের কাছে লোহা চুরি |
৮৮০ | কামারের কাছে লোহা জব্দ |
৮৮১ | কামারের কুমোর বৃত্তি |
৮৮২ | কামে কুঁড়্যা, ভোজনে ডের্যা। |
৮৮৩ | কামলা আপনি সামলা |
৮৮৪ | কামড়া কামড়ি |
৮৮৫ | কার কপালে কেবা খায় |
৮৮৬ | কার শ্রাদ্ধ কে বা করে, খোলা কেটে বামুন মরে |
৮৮৭ | কার সাধ্য কেবা মারে খোদা যারে রাজি |
৮৮৮ | কারে পড়লে আল্লার নাম |
৮৮৯ | কারো ঘর পোড়ে, কেউ আগুন পোহায় |
৮৯০ | কারো ঘর পোড়ে, কেউ ধোঁয়া খায় |
৮৯১ | কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ |
৮৯২ | কারো শাকে বালি, কারো দুধে চিনি |
৮৯৩ | কারণ বই কার্য নাই |
৮৯৪ | কার্ত্তিক ঠাকুর হ্যাংলা, একবার আসে মায়ের সাথে একবার আসে একলা |
৮৯৫ | কাল যায়, না জল যায় |
৮৯৬ | কাল ধানের ধলা পিঠা,/ মা'র চেয়ে মাসি মিঠা। |
৮৯৭ | কাল বামুন, কটা শুদ্র, বেঁটে মুসলমান, ঘরজামাই, পোষ্যপুত্র পাঁচজনই সমান |
৮৯৮ | কাল রাম রাজা হবে, আজ বনবাস |
৮৯৯ | কালঘাম ছোটা |
৯০০ | কালা গরু কালেশ্বর/ বাছুর বিয়ায় নাগেশ্বর/ যদি বাছুর ওহরে/ দুধ পারে টোহরে।। |
৯০১ | কালা পাহাড় |
৯০২ | কালা পুরুত, তোতলা যজমান |
৯০৩ | কালা বামুন, নম:শূদ্র, বেটে মুসলমান/ ঘর জামাই, পোষ্য পুত্র; এ পাচজনই সমান (কিশোরগঞ্জ) |
৯০৪ | কালা বলে গায় ভালো, অন্ধ বলে নাচে ভালো । |
৯০৫ | কালা বলে গায় ভালো, কানা বলে নাচে ভালো । |
৯০৬ | কালা শুনে ঢাকের বাদ্যি, কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্যি |
৯০৭ | কালি কলম পাত, যেমন তেমন হাত |
৯০৮ | কালি কলম পাত, তবে লেখার হাত |
৯০৯ | কালি কলম মন, লেখে তিন জন |
৯১০ | কালি ছিলাম বসে স্বর্ণপিড়ে, আজ বসেছি আস্তাকুঁড়ে |
৯১১ | কালী কালী বনমালী, শেখ পরাণে জয়ধর আলি |
৯১২ | কালীঘাটের কাঙ্গালী |
৯১৩ | কালীঘাটের চন্ডীপাঠ |
৯১৪ | কালীর অক্ষর নাইকো পেটে, চন্দী পড়ে কাছা এঁটে |
৯১৫ | কালীর দোহাই দিয়ে পাঁঠা খাওয়া |
৯১৬ | কালীর শোভা করে অসি, শিবের শোভা শিরে শশী |
৯১৭ | কালে আবজায় তুলে বেচে, তার বাড়া কি ফসল আছে ? |
৯১৮ | কালে কালে কতই হল, পুলি পিঠের লেজ গজালো |
৯১৯ | কালে ভদ্রে |
৯২০ | কালের আবার কালাকাল |
৯২১ | কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভিতরে সবারই সমান রাঙা |
৯২২ | কালো কাপড়, রুখু মাথা, লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা ? |
৯২৩ | কালো জগতের আলো |
৯২৪ | কালো টাকা |
৯২৫ | কালো বামুন, গোরা হাড়ি, বেঁটে মুসলমান বদমাশ হয় |
৯২৬ | কালো মেয়ে কি থাকবে ঘরে, সব বিকোবে বাজার দরে। |
৯২৭ | কালো হাড়ি কেয়াপাত, তবে দেখবি জগন্নাথ |
৯২৮ | কালোয় কালোয় ধলো হয় না |
৯২৯ | কালনেমির লঙ্কা ভাগ |
৯৩০ | কাশীতে ভূমিকম্প |
৯৩১ | কাশীধামে কাক মরেছে, কুমিল্লাতে হাহাকার |
৯৩২ | কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড় |
৯৩৩ | কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড় |
৯৩৪ | কায়েতের ঘরের বিড়ালটাও আড়াই অক্ষর পড়ে |
৯৩৫ | কায়েতের ছেলের কলমের আগায় ভাত |
৯৩৬ | কায়েতের মূর্খ, কলুর বলদ |
৯৩৭ | কি অপূর্ব সৃষ্টি, মা তিঁত ছা মিষ্টি |
৯৩৮ | কি কথা বলব সই, পান্তা ভাতে টক দই |
৯৩৯ | কি কর শ্বশুর মিছে খেটে/ ফাল্গুনে এঁটে পোত কেটে/ বেড়ে যাবে ঝাড়কি ঝাড়/ কলা বইতে ভাংগে ঘাড়। |
৯৪০ | কি করো শ্বশুর লেখা জোখা,/ মেঘেই বুঝবে জলের রেখা।/ কোদাল কুড়ুলে মেঘের গাঁ,/ মধ্যে মধ্যে দিচ্ছে বা।/ কৃষককে বলোগে বাঁধতে আল,/ আজ না হয় হবে কাল। |
৯৪১ | কি যাতনা বিষে, বুঝিবে ষে কিসে, কভু আশীর্বিষে দংশেনি যারে |
৯৪২ | কি দিব কি দিব খোটা, গয়ায় মরেছে বাপ-বেটা |
৯৪৩ | কি বলব ভাসুর ঘরে, নইলে তোর ছেলে মোর ছেলে মারে? |
৯৪৪ | কিনা মুরগীর ঠোঁটহিনি গোস্ত। |
৯৪৫ | কিনতে ছাগল, বেচতে পাগল |
৯৪৬ | কিবা জ্যেষ্ঠ, কি কনিষ্ঠ, যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ |
৯৪৭ | কিল খেয়ে কিল চুরি করা |
৯৪৮ | কিল খেয়ে কিল হজম করা |
৯৪৯ | কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো |
৯৫০ | কিসে আর কিসে, ধানে আর তুষে |
৯৫১ | কিসে নাই কি, (তার) পান্তা ভাতে ঘি |
৯৫২ | কিসের নাই কি, বেগুন পোড়ায় ঘি |
৯৫৩ | কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত হয় |
৯৫৪ | কচু পোড়া খাওয়া |
৯৫৫ | কচি খুকি, কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খান । |
৯৫৬ | কচি পাঁঠা, পাকা মেষ, দইয়ের আগা, ঘোলের শেষ- এইগুলো খেতে বেশ । |
৯৫৭ | কীচক বধ |
৯৫৮ | কচ্ছপের কামড় |
৯৫৯ | কচ্ছপের প্রাণ |
৯৬০ | কচুবনের কালাচাঁদ |
৯৬১ | কচুর বেটা ঘেচু, বড় বাড়েন তো মান । |
৯৬২ | কে আছ গোঁ পুতন্তি, স্নান করোগে রটন্তী। |
৯৬৩ | কে জানে তার লেখাজোখা, তিন চাঁড়ালের তিন টাকা |
৯৬৪ | কেউ খায় ভালা চিজ কেউ খায় বুরা, কেউ অয় পীর-ফকির কেউ অয় চোরা। |
৯৬৫ | কেউ দিলে কেউ পায় |
৯৬৬ | কেউ মদ বেচে দুধ খায়, কেউ দুধ বেচে মদ খায় |
৯৬৭ | কেউ মরে কেউ হরি হরি বলে |
৯৬৮ | কেউ মরে বিল সেচে, কেউ খায় কই |
৯৬৯ | কেঁচো খুড়তে কেউটে |
৯৭০ | কেঁচো খুড়তে সাপ |
৯৭১ | কেঁচো দিয়ে কাতলা ধরা |
৯৭২ | কেটে পড়া |
৯৭৩ | কেঁদে কূল পাওয়া |
৯৭৪ | কেঁদে হাট করা |
৯৭৫ | কেমন (তোমার যেমন) ভালবাসা, মুসলমানের মুরগি পোষা |
৯৭৬ | কেল্লা ফতে করা |
৯৭৭ | কেল্লা মেরে দেওয়া |
৯৭৮ | কোকিল বঁধু ছেলে ধরতে জানেন না |
৯৭৯ | কোট ধরে বসে থাকা |
৯৮০ | কোথাকার জল কোথায় গড়ায় |
৯৮১ | কোথাকার জল কোথায় যায় |
৯৮২ | কোথায় ধর্মতলা আর কোথায় খাটেরতলা |
৯৮৩ | কোথায় রাম রাজা হবেন, না বনবাস! |
৯৮৪ | কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ |
৯৮৫ | কোন কালে (বা জন্মে) হবে পো, নেকড়া-কানি তুলে থো । |
৯৮৬ | কোন কালে নাইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই |
৯৮৭ | কোন্ কালেই বা চুরি করেছি, ঘরে ভাত নেই তাই এসেছি । |
৯৮৮ | কোন জন্মে ছিল না ডুলি, আগে দুই পা তুলি |
৯৮৯ | কোন ঠাসা হওয়া |
৯৯০ | কোন বা বিয়ে, তার দু-পায় আলতা |
৯৯১ | কোনও বড় কাজ রাতারাতি হয় না |
৯৯২ | কোন্দলে জাত নষ্ট |
৯৯৩ | কোমর বেঁধে লাগা |
৯৯৪ | কোল টানা ছ । |
৯৯৫ | কোলে মরে ত পোষানী দেয় না । |
৯৯৬ | কুঁজী, না ঐ খুঁজি |
৯৯৭ | কুঁজোর কি অনিচ্ছা যে চিত হয়ে শোয় |
৯৯৮ | কুজনের নাহি লাজ নাহি অপমান, সুজনের এক কথা মরণ সমান । |
৯৯৯ | কুঁজড়ো কাওয়ারি নুর-- তিন নিয়ে মেদিনীপুর |
১০০০ | ক'টি ছেলে, না পুড়িয়ে খাব । |
Monday, 11 January 2016
বাংলা প্রবাদ, প্রবচন ও বাগধারা -- ১
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
brother, atleast you should've put the meanings of these proverbs. its an amazing collection.
ReplyDelete✍️সাহিত্যরসিক জনের মনোহরণ কারী এই সৃষ্টি ব্লগারকে স্মরণীয় রাখবেই। আরও চমকে চোখ ধাঁধানোর অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
🙏